Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিমান

‘ভূতুড়ে উড়ানে’র টিকিট বিক্রি করছে বিমানসংস্থাগুলি! বিপাকে যাত্রীরা

মন্দার মারে ধুঁকতে থাকা বিমানসংস্থাগুলির অবস্থা হয়ে উঠেছে শোচনীয়।

Airlines selling tickets for 'Ghost flights', passengers suffer
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 7, 2020 4:11 pm
  • Updated:July 7, 2020 4:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারীর জেরে জোর ধাক্কা খেয়েছে গণপরিবহণ। বিশেষ করে, মন্দার মারে ধুঁকতে থাকা বিমানসংস্থাগুলির অবস্থা হয়ে উঠেছে শোচনীয়। লকডাউন পর্বে বিক্রি হওয়া টিকিটের দাম এখনও গ্রাহকদের ফেরত দেয়নি তারা। এহেন সংকটকালে যাত্রীদের কাছে ‘ভূতুড়ে উড়ানে’র টিকিট বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে একাধিক বেসরকারি বিমানসংস্থার বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: ‘আজীবন সুরক্ষা নাও মিলতে পারে’, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে সতর্ক করলেন ফাউচি]

না, বিমানগুলিতে ভূতের উপদ্রব নেই। কোনও অলৌকিক ঘটনার কথাও বলা হচ্ছে না এখানে। এক্ষেত্রে ‘ভূতুড়ে উড়ান’ বলতে এমন বিমানের কথা বলা হচ্ছে যেগুলির আদতে অস্তিত্বই নেই। অন্তত, যাত্রীরা তেমনটাই অভিযোগ করছেন। তাঁদের অভিযোগ, অস্তিত্বহীন বিমানের ভুয়ো রুটের টিকিট বিক্রি করে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন শচীন শেট্টি নামের জনৈক যাত্রী। এক সর্বভারতীয় সংবাদমধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, মুম্বই থেকে ম্যাঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য জুনের মাঝামাঝি ননস্টপ ফ্লাইটের তিনটি টিকিট কেটেছিলেন তিনি। জুলাই মাসের ৫ তারিখ তাঁর রওনা দেওয়ার কথা ছিল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে, আগেভাগেই টিকিট কেটে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু যাত্রার দিন চারেক আগে বিমানসংস্থার তরফে তাঁকে জানানো হয় যে, কোনও এক কারণে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। তাঁর টিকিটের টাকা ‘ওয়ালেট’-এ জমা রাখা হয়েছে। সেই টাকা থেকে ভবিষ্যতে তিনি টিকিট কাটতে পারবেন। একই অভিজ্ঞতা হয় ব্যবসায়ী ব্রিজেশ সুতারিয়ারও। জুনের ৭ তারিখ যাত্রা করার উদ্দেশ্যে মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটেন তিনি। সেবারেও কোনও নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে বিমান বাতিল হওয়ার কথা জানানো হয় বিমানসংস্থার তরফে। তাঁর টাকাও ‘ওয়ালেট’-এ জমা রাখা হয়।

Advertisement

এদিকে, এই ঘটনার পর শচীন শেট্টি জানতে পারেন যে বর্তমানে মুম্বই-ম্যাঙ্গালুরু কোনও ডিরেক্ট ফ্লাইট নেই। একই অভিজ্ঞতা হয় ব্রিজেশ সুতারিয়ারও। বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে মুম্বই থেকে চেন্নাই, ত্রিবান্দ্রম, ম্যাঙ্গালুরু ও পাঞ্জিম যাওয়ার কোনও ডিরেক্ট ফ্লাইট নেই। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, পরিষেবা নেই জেনেও টিকিট বিক্রি করা হল কেন? যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, মন্দার মার ঠেকাতে টিকিট বিক্রির জন্য জেনেশুনে এহেন কাজ করছে কয়েকটি বিমানসংস্থা। ওয়ালেটে টাকা জমা পড়া মানে ওই নির্দিষ্ট সংস্থা থেকেই ভবিষ্যতে টিকিট কাটতে হবে। এছাড়াও, যতদিন না সেই টিকিট কাটা হয় ততদিন বিনা সুদে সেই টাকা প্রতিষ্ঠানটির কাছে থাকছে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় প্রতারণার এক অভিনব ছক দেখতে পাচ্ছেন যাত্রীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গালওয়ানে নিহত শতাধিক চিনা সৈনিক! দাবি লালফৌজের প্রাক্তন কর্তার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ