Advertisement
Advertisement
ঐশীর বার্তা

‘চোখে চোখ রেখে লড়াই চলবে’, বার্তা আক্রান্ত ঐশীর

৮ জানুযারি দেশজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক।

AIshi Ghosh from JNU calls for student strike on 8 January.

ফাইল ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 6, 2020 7:33 pm
  • Updated:January 6, 2020 7:33 pm

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: “লড়াই চলবেই”। বার্তা JNU-এর ছাত্র সংসদের আক্রান্ত সভানেত্র্রী ঐশী ঘোষের। জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বর্ধিত ফি-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি থাকবে বলেও দাবি তাঁর। ছাত্রদের উপর নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদে আগামী ৮ জানুয়ারি দেশজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে্ন তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা। প্রশ্ন তুলেছেন, JNU-এর উপাচার্যের ভূমিকা নিয়েও।

প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধেবেলা জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে অন্তত তিনটি গার্লস হস্টেলে হামলা চালায় মুখ ঢাকা ‘বহিরাগত’র দল। অভিযোগ, হস্টেল থেকেই ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে টানতে টানতে বাইরে বের করে দেওয়ালে মাথা ঠুকে ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ব্যাট, লাঠির ঘায়ে আহত অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন-সহ অন্তত ১৮ জন। যাঁদের প্রত্যেককেই এইমসে ভরতি করানো হয় চিকিৎসার জন্য। এমন হামলার নেপথ্যে অভিযোগের তির এবিভিপির দিকে। যদিও রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমারের বিবৃতি সম্পূর্ণ উলটো। তাঁর অভিযোগ, এতদিন ধরে হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন করেছে একদল পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় থাকা বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের মদতই ছিল সবচেয়ে বেশি। দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনা বাদ দিয়ে প্রতিবাদে শামিল হওয়া শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। যারা মন দিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, তাদেরও বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রেজিস্ট্রারের। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শনিবার সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশনে অন্যান্য পড়ুয়াদেরও বাধা দেওয়া হয়েছে বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের তরফে। এর পালটা প্রতিরোধও হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ শনি ও রবিবার হস্টেলে হামলা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন : ৭ বছরের রেকর্ড ভাঙল সোনার দাম, চড়চড়িয়ে বাড়ছে জ্বালানির মূল্যও]

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ঐশী। ১৬টি সেলাই পড়েছে তাঁর। ঐশী জানান, “হস্টেলের ফি কমানোর দাবিতে শামিল হয়েছে IIT, AIIMS-এর পড়ুয়ারাও।” মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ঐশীর অভিযোগ, “ফি বৃদ্ধির আন্দোলন বন্ধ করার জন্য এর আগেও বারবার হামলা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে ওরা। তাই এবার গুন্ডা দিয়ে হামলা করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “দুপুর থেকেই ক্যাম্পাস চত্বরে ABVP-র সদস্য ছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয় অনেকে জমা হচ্ছিল। আমরা পুলিশকে এ বিষয অভিযোগ জানাই। কিন্ত তারা পাত্তা দেয়নি।” রবিবার JNU ক্যাম্পাসে ঐশীর উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়। সেই হামলার প্রসঙ্গে ঐশীর বক্তব্য, আমাকে মারার অর্থ আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন, যারা সমর্থন করেছে তাঁদের গায়ে হাত তোলা। একই সঙ্গে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ঐশীর অভিযোগ, উপাচার্যের যদি নৈতিক দায়িত্ব থাকত, তাহলে এতক্ষণে তিনি পদত্যাগ করতেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ