Advertisement
Advertisement

Breaking News

মহারাষ্ট্রে চূড়ান্ত কংগ্রেস-এনসিপি আসনরফা, উত্তরপ্রদেশে ‘হাত’ ছাড়াই মহাজোট

অখিলেশ-মায়াবতীর দফায় দফায় সাক্ষাৎ।

Akhilesh Yadav meets Mayawati
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 5, 2019 11:25 am
  • Updated:January 5, 2019 11:41 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় রাজনীতিতে জোটের উত্তাপ। একই দিনে উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল বিরোধীদের আসনরফা। মহারাষ্ট্রে জোট করে লড়ছে কংগ্রেস-এনসিপি। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের মহাজোট থেকে বাদ রাহুল গান্ধীর দল। 

উত্তরপ্রদেশের মহাজোটে কংগ্রেসের বাদ যাওয়া কার্যত নিশ্চিত। বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে রাহুলকে বাদ দিয়েই মহাজোট করতে চলেছেন অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী। বিএসপি সুপ্রিমোর জন্মদিনে নতুন জোটের আসনরফা ঘোষণা হওয়ার কথা। সেই দিন যত এগিয়ে আসছে ততই নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে জোটে কংগ্রেসের অনুপস্থিতি। কিন্তু, কংগ্রেসকে কেন বাদ দিতে চাইছেন মায়াবতী-অখিলেশ? আসলে সম্প্রতি তিন রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের দাদাগিরি সুলভ আচরণ পছন্দ হয়নি ‘বুয়া-ভাতিজা’র। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এখন একেবারেই প্রান্তিক শক্তি, তাদের ক্ষমতা সে অর্থে তেমন নেই। সেই তুলনায় মহাজোটে থাকার জন্য বেশি আসন চাইছেন রাহুল গান্ধীরা। যা ছাড়তে রাজি নন, মায়া-অখিলেশ।

Advertisement

[রামমন্দির নিয়ে কংগ্রেসকে ভাবতে হবে না, রাহুলকে আক্রমণ স্মৃতির]

সূত্রের খবর, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির জোট কার্যত নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বেশ কয়েক দফায় বৈঠক করে ফেলেছেন মায়াবতী-অখিলেশ। বৈঠকে স্থির হয়েছে আগামী লোকসভায় কমবেশি সমসংখ্যক আসনে লড়বে একসময়ের দুই প্রবল বিরোধী রাজনৈতিক দল। কংগ্রেসকে বাদ দেওয়া হলেও জোটে নেওয়া হচ্ছে অজিত সিংয়ের রাষ্ট্রীয় লোক দলকে। তাদের জন্য তিনটে আসন অখিলেশের ভাগ থেকে ছাড়া হবে। অন্যদিকে, জোটে না দিলেও গান্ধী পরিবারের দুর্গ আমেঠি এবং রায়বরেলিতে কোনও প্রার্থী দেবে না মহাজোট।

Advertisement

[রামমন্দির-বাবরি নিয়ে এনডিএ জোটের মাথাব্যথা নেই, বলছেন ত্যাগী]

এদিকে, উত্তরপ্রদেশে মহাজোট থেকে বাদ পড়লেও মহারাষ্ট্রে ভাল খবর রয়েছে কংগ্রেসের জন্য। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই শরদ পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে আসনরফা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে। মোটামুটিভাবে ঠিক হয়েছে দুটি দলই ২০টি করে আসনে লড়াই করবে। বাকি ৮টি আসনের মধ্যে কয়েকটি আসন ছাড়া হবে ছোট রাজনৈতিক দলগুলির জন্য। ২টি আসন নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে, শীঘ্রই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে দাবি দুই শিবিরেরই। ২০১৪ লোকসভাতেও জোট করেই লড়েছিল এনসিপি-কংগ্রেস। সেবারে বড় সঙ্গী হিসেবে কংগ্রেস লড়েছিল ২৬ আসনে। কিন্তু কংগ্রেসের মাত্র ২ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই এবার দুই দল সমান সংখ্যক আসনে লড়বে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ