সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিজেপির (BJP) নিশানায় জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru)। নেহরুই (Jawaharlal Nehru) জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করিয়েছিলেন। সেই থেকেই উপত্যকায় সমস্যার সূত্রপাত। যার সমাধান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবারই এমন দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এই দাবি নস্যাৎ করে তাঁকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশের খোঁচা, ‘ওঁর সাহেবের মতো উনিও মিথ্যের সুপার স্প্রেডার।’
ভোটমুখী গুজরাটে ‘গৌরব যাত্রা’ শুরু করেছে বিজেপি। সেই উপলক্ষে রাজ্যে এসেছেন শাহ। আর সেখানে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়েই তাঁর মুখে উঠে আসে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। তিনি দাবি করেন, নেহরুই উপত্যকা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতার জন্য একক ভাবে দায়ী। মোদি ক্ষমতায় আসার পরে পরিস্থিতি বদলেছে। তাঁর কথায়, ”জওহরলাল নেহরুর ভুলেই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল। সকলেই চেয়েছিলেন ৩৭০ ধারা রদ করা হোক। প্রধানমন্ত্রী মোদি এক স্ট্রোকেই সেটাকে রদ করেছেন।”
नेहरू ने तानाशाही से संविधान में आर्टिकल 370 शामिल नहीं किया।चर्चा हुई थी,जो नोटबंदी के समय नहीं हुई।पटेल,अंबेडकर और श्यामा प्रसाद मुखर्जी ने आपत्ति नहीं जताई।J&K में काम कर चुके अय्यंगार ने ड्राफ्ट किया।इस पर किसी ने इस्तीफा नहीं दिया।शाह अपने साहब जैसे झूठ के सुपर-स्प्रेडर हैं!
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) October 13, 2022
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ শশীর, পরিস্থিতি সামলাতে সুর নরম খাড়গের]
এই দাবির বিরোধিতা করে ঠিক কী লিখেছেন জয়রাম রমেশ? তাঁকে টুইটারে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘নেহরুর স্বৈরাচারের জন্য সংবিধানে ৩৭০ ধারাকে শামিল করা হয়েছিল তা নয়। আলোচনা হয়েছিল। যেটা নোটবন্দির সময় হয়নি। প্যাটেল, আম্বেদকর ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা কেউই কোনও আপত্তি করেননি। জম্মু ও কাশ্মীরে কাজ করা আয়াঙ্গার খসড়া তৈরি করেছিলেন। কেউ ইস্তফা দেননি। শাহ নিজের সাহেবের মতোই মিথ্যের সুপার স্প্রেডার।’
উল্লেখ্য, বরাবরই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দিকে দেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সমস্যার জন্য আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। গত আগস্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল দেশভাগের জন্য দায়ী নেহরুই। মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের দাবির সামনে তিনি মাথা নত করেছিলেন। পালটা দাবি করে কংগ্রেস জানিয়েছিল, আধুনিক দিনের সাভারকর এবং জিন্নারা জাতিকে বিভক্ত করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।