সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেহেরুর জন্যই সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তান। নেহেরুই পাকিস্তানকে কাশ্মীরের একাংশ। সংসদে দাঁড়িয়ে একথা বলেছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এর জবাবে কংগ্রেসের কটাক্ষ, “উনি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ইতিহাস শিখেছেন। ওনাকে আমরা ইতিহাসের কিছু বই পাঠিয়ে দেব। চাইলেই ইতিহাস শিখে নিতে পারেন।”
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ১৩০ কোটি বাঙালি! দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]
সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আজ কাশ্মীরের এক তৃতীয়াংশ ভারতের সঙ্গে নেই। এর জন্য কে দায়ী? সেসময় যুদ্ধবিরতি কে চেয়েছিলেন? আপনারা বলেন, আমরা কাউকে না জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিই, কিন্তু নেহেরুজি তো সেসময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী সর্দার প্যাটলকেই কিছু জানাননি। তাঁকে না জানিয়েই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন এবং পাকিস্তানকে কাশ্মীরের একটা অংশ উপহার দেন। আপনাদের সেই ভুলের জন্য, দেশকে আজ মূল্য দিতে হচ্ছে। আজ হাজারো মানুষের প্রাণ যাচ্ছে ওই ভুলের জন্য। আজ কাশ্মীরের সন্ত্রাসের আবহ ওই ভুলটার জন্যই। তাই আমাদের ইতিহাস শেখানোর চেষ্টা করবেন না।” অমিতের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফের তাঁকে ইতিহাস শিক্ষার পরামর্শই দিল কংগ্রেস।
কংগ্রেস দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের অন্যতম মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, “কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ইতিহাস শেখেন তাহলে তাঁর সঙ্গে আলাদা করে তর্ক করার কোনও মানেই হয় না। আমরা এ ধরনের তর্ক করি না। বড়জোর আমরা ওনাকে কয়েকটি ইতিহাসের বই পাঠিয়ে দিতে পারি। কথা যখন উঠছে তখন তথ্য আমাদের কাছেও আছে। দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রথম উঠেছিল হিন্দু মহাসভার গান্ধীনগর অধিবেশনে। তাঁর তিন বছর পর এই প্রস্তাব আনে মুসলিম লিগ। তাই এসব তথ্য নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই।”
[আরও পড়ুন: ‘এবার দিল্লিতেও চাই অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’, দাবি মনোজ তিওয়ারির]
রাহুল গান্ধীর সভাপতিত্ব নিয়েও এদিন বড় ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। পবন খেরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাহুলকে সভাপতি থাকার জন্য দলের প্রত্যেকে অনুরোধ করেছেন। গোটা দল চাই, রাহুলই সর্বোচ্চ পদে বহাল থাকুন। যে যার মতো করে পারছে ওনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে, এটা একটা প্রক্রিয়া। এ নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।
LIVE: Press briefing by @Pawankhera, National Spokesperson, AICC https://t.co/0zZCsoN21m
— Congress Live (@INCIndiaLive) June 29, 2019