সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদকের নেশা ছাড়ানোর নাম করে রিহ্যাব সেন্টার (Rehad Centre), আর তারই আড়ালে যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ, মানব বোমা হিসেবে প্রস্তুত করার মতো গুরুতর অপরাধমূলক কাজ চলত। পরিকল্পনা ছিল আত্মঘাতী হামলার (Suicide Attack)। পাঞ্জাবে খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংয়ের জালে আনতে গিয়ে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে পুলিশের। যাতে রীতিমত বিস্মিত দুঁদে গোয়েন্দারাও। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি অমৃতপাল সিংকে (Amritpal Singh)। বারবার নাকি পোশাক আর গাড়ি বদলে বদলেই সে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে পুলিশও মরিয়া তাকে নিজেদের জালে টানতে। যদিও তার কাকা এবং গাড়িচালক সোমবার সকালে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
Amirtpal Singh’s uncle, driver surrender before Punjab Police: SSP Jalandhar
Read @ANI Story | https://t.co/oPdtTP4pUf
#AmritpalSingh #PunjabPolice pic.twitter.com/owfxEEgnpe— ANI Digital (@ani_digital) March 20, 2023
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গুরুদ্বারের (Gurudwara) মতো ধর্মীয় উপাসনালয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত কুখ্যাত খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং। বলা হচ্ছে, রিহ্যাব সেন্টার এবং গুরুদ্বারে অস্ত্রশস্ত্র মজুত করত সে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত বছর দুবাই থেকে অমৃতপাল ফিরে আসার পর নিজেকে স্বঘোষিত কট্টরপন্থী প্রচারক হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসব কাজে সক্রিয় হচ্ছিল। তাঁদের অনুমান, পাাকিস্তানের আইএসআই (ISI)এবং খলিস্তানপন্থীদের কাছ থেকে এ বিষয়ে উৎসাহ পেয়েছিল সে। আর সেই কারণেই বড়সড় নাশকতার জন্য গোপনে তৈরি করছিল মানব বোমা বা স্থানীয় ভাষায় ‘খাড়কু’দের।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি বঙ্গ বিজেপির বিরোধী গোষ্ঠীর]
পুলিশ সূত্রে আরও তথ্য, নিহত জঙ্গিদের স্মরণ অনুষ্ঠান যেখানে হয়, তার হদিশ রাখে অমৃতপাল। সেসব অনুষ্ঠানে সে যায় এবং নাশকতায় আরও উদ্দীপিত হয়ে ফেরে। তার কথায়, ওই জঙ্গিরা ‘শহিদ’ এবং তাদের পথই অনুসরণ করে চলা উচিত। আর এভাবেই সে যুব প্রজন্মের মগজ ধোলাই করত বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, সম্প্রতি পাকিস্তানের বেহাল আর্থিক দশায় অস্ত্রভাণ্ডারেও টানা পড়েছে। তাই অমৃতপাল সিংয়ের মতো এজেন্টদের কাজে লাগিয়ে ভারত বিরোধিতার কাজ চালাতে চাইছে তলে তলে। আর অমৃতপালও রিহ্যাব সেন্টার খুলে কমবয়সী যুবকদের চিকিৎসার নামে আসলে তাদের মগজ ধোলাই করে ‘খাড়কু’ তৈরিতে উৎসাহিত করে তুলেছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমায় বিয়ে করবেন?’, বিমানবন্দরে ভক্তকে গোলাপ দিয়ে প্রস্তাব রোহিতের! ভিডিও ভাইরাল]
এ বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ‘আনন্দপুর খালসা ফ্রন্ট’ (AKF) নামে একটি সংগঠনের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। অমৃতপালেরই তৈরি এই সংগঠনের মূল কাজ ছিল প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা। অমৃতসরের গুরুদ্বারে হানা দিয়ে প্রচুর অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও অধরা অমৃতপাল সিং। পাঞ্জাব প্রশাসন ও পুলিশের আশা, খুব শিগগিরই সে ধরা পড়বে। অমৃতপালের অগনিত অনুরাগী যাতে কোনও অশান্তি ছড়াতে না পারে, তার জন্য গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।