Advertisement
Advertisement
Kota

‘সরি বাবা, পারছি না’, চিঠি লিখে আত্মঘাতী কোটার আরও এক JEE পড়ুয়া

চলতি বছরে আত্মঘাতী হয়েছেন কোটার ৬ পড়ুয়া।

Another Kota student killed himself, left note

প্রতীকী ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:March 8, 2024 4:13 pm
  • Updated:March 8, 2024 4:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা আমি আর পারছি না। আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিতে পারব না। সুইসাইড নোটে এই কথা লিখে আত্মঘাতী হলেন কোটার (Kota) ছাত্র। চলতি বছরে এই নিয়ে আত্মহত্যা করলেন ৬ জন পড়ুয়া।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত পড়ুয়ার নাম অভিষেক কুমার। বিহারের (Bihar) ভাগলপুরের বাসিন্দা। তবে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE) প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কোটায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিষেক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিজাবের পালটা গেরুয়া স্কার্ফ, ফের বিতর্কে উত্তাল কর্নাটকের কলেজ

জানা গিয়েছে, অভিষেকের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বিষের বোতল। পাশ থেকেই মিলেছে সুইসাইড নোট। সেখানে সাফ লেখা ছিল, “সরি বাবা। আমি জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা দিতে পারব না।” পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ২৯ জানুয়ারি ও ১৯ ফেব্রুয়ারি টিউশনের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষাগুলোও দিতে যাননি অভিষেক। তার পরে সম্ভবত বৃহস্পতিবার রাতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। শুক্রবার উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।

Advertisement

চলতি বছরে এই নিয়ে কোটার ৬ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন। গত বছরে কোটায় ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ২৯য়ে। বারবার প্রশ্ন উঠছে, প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সেরা ঠিকানা কোটা কেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে? আঙুল উঠেছে কোটার কোচিং সেন্টারগুলোর দিকে। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এইভাবে পর পর পড়ুয়াদের আত্মহত্যার জন্য কোচিং সেন্টারগুলিকে দায়ী করা যায় না। এর দায় প্রয়াত পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরই। তাঁদের প্রবল চাপ সহ্য করতে না পেরেই জীবন শেষ করে দেওয়ার পথে হাঁটছেন পড়ুয়ারা। প্রয়াত অভিষেকের সুইসাইড নোট যেন সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যকেই আবার তুলে ধরল। 

[আরও পড়ুন: ‘৩৭০ ধারা যদি এতই খারাপ হত…’, মোদিকে পালটা জবাব ফারুকের

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ