সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও আগ্রাসী ও ভয়ঙ্কর করে তুলতে অতি সম্প্রতি একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। সেই প্রকল্পেরই অংশ হিসাবে এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর মূল ব্যাটেল ট্যাঙ্ক ‘ভীষ্ম’কে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। টি-৯০ ব্যাটেল ট্যাঙ্কে এবার বসতে চলেছে থার্ড জেনারেশন মিসাইল সিস্টেম।
শুধু তাই নয়, চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ালে অতিরিক্ত উচ্চতায় এই ট্যাঙ্কগুলি যাতে সুষ্ঠুভাবে, দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে এতে মডিউলার ইঞ্জিন বসানোরও পৃথক প্রকল্প অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে ভীষ্মের ‘স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটি’ বা হামলা চালানোর দক্ষতাও বাড়বে। বর্তমানে যে ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয় সেগুলি পালটে ১২০০-১৫০০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন বসানোর কাজ শুরু হবে দ্রুতই। তারপর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
বর্তমানে টি-৯০ ব্যাটেল ট্যাঙ্কের সঙ্গে লেজার গাইডেড INVAR মিসাইল যুক্ত থাকে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র পালটে এবার আরও আধুনিক ও মারণ মিসাইল বসাতে চায় সেনা। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক সেনাকর্তা বলছেন, ‘যে মিসাইলগুলি বর্তমানে ওই সাঁজোয়া গাড়ির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, সেগুলির পাল্লা আর বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই গোটা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটাকেই পালটে ফেলা হচ্ছে।’ রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই সাঁজোয়া গাড়ি কিন্তু এখনও যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতের প্রধান ভরসা।
[মোদি, কোবিন্দের সুরক্ষায় দিল্লিতে বসছে মার্কিন ‘আমব্রেলা’]
সেনা সূত্রে খবর, এই নয়া থার্ড জেনারেশন মিসাইলগুলির ক্ষতি করার ক্ষমতা বা ‘ডেপথ অফ পেনেট্রেশন’ মারাত্মক। একবার ছুড়লে নিশানাকে তছনছ করে দেবে চোখের নিমেষে। প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকেও নিশানা করতে পারবে এই মিসাইল। শুধু দিনের আলোয় নয়, রাতের অন্ধকারেও সমান বিধ্বংসী ও নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারে মিসাইলগুলি। টি-৯০ ট্যাঙ্কের ১২৫ এমএম গান ব্যারেল থেকে ছোড়া হবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি। লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে এগুলি ‘প্রি-প্রোগ্রামড’ করা থাকবে।
একবার ছুড়ে দিলে যে কোনও টার্গেটকেই, তা সে চলমানই হোক বা স্থির, ধুলোয় মিশিয়ে দেবে এই মিসাইল। চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছানোয় সম্প্রতি সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। ক্ষণস্থায়ী অথচ তীব্র যুদ্ধের জন্য পর্যাপ্ত গোলাগুলি ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। অন্তত ১০ রকমের নয়া অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার পূর্ণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে উপ-সেনাপ্রধানকে। গত বৃহস্পতিবারই মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের কাছ থেকে শত্রুপক্ষের উপর হামলার জন্য ৬টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার কিনতে ৪,১৬৮ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।