Advertisement
Advertisement
Assam Flood

বন্যায় ডুবেছে অসম, এবার রাস্তাতেই কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে ক্যানসার আক্রান্তদের

বন্যায় ভাসছে কাছাড়ের ক্যানসার হাসপাতাল।

Assam Cancer Hospital will provide chemotherapy on road amidst flood | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 1, 2022 3:31 pm
  • Updated:July 1, 2022 3:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যায় বিপর্যস্ত অসমে (Assam) থমকে গিয়েছে জীবনযাত্রা। কিন্তু তার মধ্যেই অসুস্থ মানুষের স্বার্থে নতুন পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এবার রাস্তাতেই কেমোথেরাপি (Chemotherapy) দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চলেছে অসমের ক্যানসার হাসপাতালগুলি। শিলচরের বহু অঞ্চল জলের তলায় রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল বরাক জেলার কাছাড় ক্যানসার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। ফলে চিকিৎসা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

ভয়াবহ বন্যায় (Assam Flood) ইতিমধ্যেই অসমে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২৬ জন। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই ডুবে রয়েছে কাছাড়ের ক্যানসার হাসপাতাল (Cancer Hospital)। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক, লাইফ জ্যাকেট পরে ছোট নৌকো করে হাসপাতালে ভরতি থাকা রোগীদের উদ্ধার করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে যৎসামান্য জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাই রাস্তাতেই চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করেছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ড: গাফিলতির জেরে ‘শাস্তি’ ৩২ পুলিশ অফিসারকে, অভিযুক্তদের ফাঁসি চান আইনজীবীরাও]

হাসপাতালের এক আধিকারিক দর্শনা আর জানিয়েছেন, “ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা করা যাবে। যেসব এলাকার রাস্তায় জল জমেনি বা জমা জলের পরিমাণ কম, সেখানেই চিকিৎসা করা হচ্ছে।” কিছু গুরুতর অপারেশনও করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে সার্জারির সংখ্যা আগের থেকে অনেকটাই কমাতে হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন না পড়লে অপারেশন করা হচ্ছে না। দর্শনা বলেছেন, “অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়ার জন্য নাইট্রাস গ্যাসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে নাইট্রাস গ্যাস নেই।”

Advertisement

সকলের কাছে চিকিৎসা পৌঁছে দিতে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নৌকো করেই তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্যার আগে কাছাড় হাসপাতালের ১৫০ শয্যার প্রায় পুরোটাই ভরতি ছিল। তারপরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়িত্ব নিয়ে পেশেন্টদের বাড়ি পাঠাতে হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় অসমে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ২২ লক্ষ মানুষ। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বরাক, কপিলি ও কুশিয়ারা নদী। তার মধ্যেই উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তিনদিন পরই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন একনাথ শিণ্ডে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ