সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোমাংস ভক্ষণ নিয়ে ফের বিতর্ক। এবার গোমাংস বিতর্কে জড়ালেন গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মহিলা গবেষক। রেহেনা সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গোমাংস ভক্ষণ করে উল্লাসের সঙ্গে তা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তথ্য প্রযুক্তি আইনে ওই মহিলা গবেষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অসম পুলিশ।
“পাকিস্তানের জয়ে আজ গোমাংস খাচ্ছি। আমার স্বাদকোরকের উপর নির্ভর করবে আমি কি খাব। অযথা বিতর্ক তৈরি করবেন না।”
“পাকিস্তানের জয়ে আজ গোমাংস খাচ্ছি। আমার স্বাদকোরকের উপর নির্ভর করবে আমি কি খাব। অযথা বিতর্ক তৈরি করবেন না। কিংবা গোমাংস নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করে আপনার আচার-আচরণের পরিচয় দেওয়ার কোনও দরকার নেই।” ঠিক এই পোস্টটি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা গবেষক রেহেনার ফেসবুক প্রোফাইলে জ্বলজ্বল করছিল। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি। তাঁর পোস্ট নজরে আসতেই শুরু হল শোরগোল। প্রথমত ইন্দো-পাক সম্পর্কের এই অস্থির সময়ে পাকিস্তানকে সমর্থন এবং দ্বিতীয়ত গোমাংস ভক্ষণ করতে উৎসাহিত করার অভিযোগে রেহেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অসম পুলিশ। তবে অভিযুক্ত মহিলার অবশ্য দাবি, তাঁর ফেসবুক পোস্টের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুটিং ফ্লোরে ফিরলেন নুসরত, বিয়ের পর প্রথম ছবির কাজ সাংসদের]
বিপাকে পরার পরই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন গবেষক রেহেনা। অসমের স্থানীয় একটি পোর্টাল প্রথমে রেহেনার ওই পোস্ট নিয়ে খবর করাতেই তা আরও ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুয়ায়ী ইদ উপলক্ষেই তিনি ওই পোস্ট করেছিলেন। তারপরই তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের হয় গবেষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত রেহেনার ব্যাখ্যা, এই ফেসবুক পোস্ট ২ বছর আগের। ২০১৭ সালের জুনে ভারত-পাক ম্যাচের সময় বিরাট শূন্য রানে আউট হয়ে যান। ক্রিকেট অনুরাগী হিসেবে সেই হতাশা থেকেই পোস্টটি করা। পরে অবশ্য নিজের ভুল স্বীকার করে নেন রেহেনা। কিন্তু ইদ উপলক্ষে তিনি যে ওই পোস্ট করেননি এও জানান। রেহেনা বলেন, “আমার ওই পোস্ট করা উচিত হয়নি। পোস্টের ভুল ব্যাখ্যা হওয়ার পরই আমি সেটা তুলে দিয়েছি।” অসম পুলিশের ডিজি কুলধর সাইকিয়া বলেন, “গুয়াহাটি পুলিশ রেহেনা সুলতানার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের জানা উচিত যে এটা কোনও ভুয়ো খবর বা ঘৃণামূলক বার্তা দেওয়ার জায়গা নয়।”
[আরও পড়ুন: ফের বলিউড ছবিতে টোটা রায়চৌধুরি, রয়েছেন পরিনীতিও]
অন্যদিকে, গোমাংস ভক্ষণের অভিযোগ ওঠে রায়গঞ্জের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে। জনৈক বিজেপিকর্মী তাঁর ফেসবুকে সেলিমের মার্কিন সফরের কথা তুলে ধরে বলেন তিনি নাকি ওই সময়ে নিয়মিত গোমাংস ভক্ষণ করেছিলেন। এধরনের মন্তব্যের জন্য ওই বিজেপিকর্মীর বিরুদ্ধে লালবাজারের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ সেলিম।