সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যাচ্ছিলেন বিয়ে করতে। নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হবু স্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার পথে হঠাৎ রাস্তার পাশে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখেন কিছু মানুষকে। ভারত মাতা কি জয় স্লোগানের পাশাপাশি ড্রাম বাজিয়ে নাচগানও চলছিল। ফাটানো হচ্ছিল আতশবাজি। ব্যস, আর আটকে রাখা যায়নি তাঁকে। বিয়ের সাজে ঘোড়ার উপর বসেই নাচতে শুরু করেন মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানির শাস্ত্রীনগরের বাসিন্দা গণেশ শুকলাল দেওরি। নাচতে নাচতে ঘোড়া থেকে নেমেও পড়তে যান তিনি।
কিন্তু, বিয়ে করতে যাওয়ার পথে ঘোড়া থেকে নেমে পড়লে যদি অমঙ্গল হয় এই আশঙ্কায় তাঁকে কাঁধে তুলে নেন মাটিতে থাকা খুড়তুতো ভাই। কারণ, সংস্কার অনুযায়ী কনের বাড়ি না পৌঁছানো পর্যন্ত মাটিতে পা রাখতে পারবে না হবু বর। ভাইয়ের কাঁধে উঠেই সঙ্গে থাকা বরযাত্রীদের কাছে দেশের পতাকা চান গণেশ। আর সেই পতাকা হাতে নিয়ে ভাইয়ের কাঁধে চড়ে দশম শতাব্দীতে তৈরি সেনধাওয়া দুর্গের সামনে দিয়ে নাচতে নাচতে হবু স্ত্রীর বাড়ির দিকে এগিয়ে যান। ভারত মাতার জয় বলতে বলতে নাচগানে মেতে ওঠেন তাঁর সঙ্গে থাকা বরযাত্রীরাও।
[বায়ুসেনার টার্গেট ছিল জইশ ও লস্করের সদর দপ্তর! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এপ্রসঙ্গে ওই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এই ধরনের সারপ্রাইজ আমরা আশা করিনি। বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বর যেভাবে আমাদের সঙ্গে নাচল তাতে আমাদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।’
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ১২ দিন পর গতকাল ভোররাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে থাকা জইশ জঙ্গিদের সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর ফলে খতম হয় ৩০০-র বেশি জঙ্গি। যার খবর ভারতে ছড়িয়ে পড়তেই আনন্দে মেতে ওঠে সবাই। বায়ুসেনাকে কুর্নিশ জানানোর পাশাপাশি নাচগান ও আতশবাজি পোড়ানো শুরু দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু, বিয়ে করতে যাওয়ার পথে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আনন্দে বরের নাচের দৃশ্য মনে হয় দেখেছেন একমাত্র মধ্যপ্রদেশের শাস্ত্রী নগরের বাসিন্দারাই !