Advertisement
Advertisement
বেঙ্গালুরু

নাবালক ছেলেকে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিল বাবা! নৃশংস দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করল মেয়ে

আর্থিক অভাবের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের৷

Bengaluru Man Hangs 12-Year-Old Son, Daughter Shoots It On Cellphone

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 3, 2019 8:06 pm
  • Updated:June 3, 2019 8:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বছরের ছেলেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দিল এক ব্যক্তি। আর এই ঘটনার ভিডিও করে রাখল তার কিশোরী মেয়ে। পরে তা ভাইরাল হতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগও রয়েছে। রবিবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর বিভূতিপুরা এলাকায়।

[আরও পড়ুন- আন্দোলনের চাপে মাথা নোয়াল কেন্দ্র, শিক্ষাক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয় হিন্দি]

পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে গুজরাট-মহারাষ্ট্র সীমান্তের একটি গ্রাম থেকে কর্মসূত্রে পরিবার নিয়ে বেঙ্গালুরু গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছিল সুরেশ বাবু (৪৮)। তারপর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সেলস এক্সিকিউটিভের কাজ নেয়। পরিবারে অভাব থাকায় তার স্ত্রী গীতা বাঈ (৪৫) আশেপাশে কয়েকটি বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। রবিবার ভোরে তাদের কিশোরী মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, সুরেশ আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। আর ঘরে পড়ে রয়েছে ১২ বছরের ছেলে বরুণ ও স্ত্রী গীতার মৃতদেহ। পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণেই পুরো পরিবার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

Advertisement

সুরেশ বাবুর মেয়ের তোলা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সুরেশ একটি ছোট টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে দাঁড়িয়েই ১২ বছরের ছেলে বরুণের গলায় বিছানার চাদর পেঁচিয়ে টানছে। পরে বরুণকে অচৈতন্য অবস্থায় নিচে ফেলে দিচ্ছে। একজন মহিলার দেহও পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন- তুচ্ছ অসুস্থতা, নাকে নল-অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে তরুণী]

রবিবার সুরেশ বাবুকে গ্রেপ্তার করে জেরা করে পুলিশ। তাতে জানা যায়, কয়েকটি বাড়িতে রান্নার কাজ করার পাশাপাশি চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল গীতা। এর ফলে বাজারে পাঁচলাখ টাকার উপর ধারও হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে সপরিবারে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিল তারা। রবিবার ভোরে পরিকল্পনা অনুযায়ী আত্মহত্যা করে স্ত্রী গীতা বাঈ। আর ছেলে বরুণের গলায় চাদর জড়িয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় সে। কিন্তু, পরে নিজে যখন আত্মহত্যা করতে যাবে তখন বাধা দেয় কিশোরী মেয়ে। চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে আনে।  ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরেশের আত্মহত্যার চেষ্টা রুখে দেন তাঁরা। পরে সকালে পুলিশকেও খবর দেন।

এপ্রসঙ্গে বেঙ্গালুরু পুলিশ(হোয়াইটল্যান্ড)-র ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, সুরেশ যখন ছেলেকে জোর করে ঝুলিয়ে দিচ্ছিল তখন ঘটনাটি মোবাইলবন্দী করে ১৭ বছরের মেয়ে। পরে সেটি ভাইরাল হতেই সুরেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে জেরা করা হচ্ছে। বেঙ্গালুরু(পূর্ব)-র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্রীমন্ত কুমার সিং বলেন, “আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে তদন্তকারীদের একটি দল সুরেশ ও তার মেয়েকে জেরা করছে। তবে দু’জনের কথার মধ্যে প্রচুর অসংগতি ধরা পড়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ