সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপাকে কর্ণাটকের (Karnataka) বিজেপি সরকার। যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে সিডি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করেন কিংবা তাঁকে টাকা দেন অথবা তাঁর খুব কাছের হন, সেই ব্যক্তিরাই মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন। না বিরোধী শিবিরের নয়, এই অভিযোগ খোদ বিজেপির অন্দরেই। সম্প্রতি কর্ণাটক মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন সাতজন নতুন মন্ত্রী। আর এই নিয়েই এবার উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে দক্ষিণের ওই রাজ্যের রাজনীতি।
১৭ মাস আগেই জেডিএস-কংগ্রেস সরকারের পতন হয়েছিল। তারপর ফের ক্ষমতায় ফিরে আসেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। যদিও সেসময় বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচা করে সরকার গড়ার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এবার অবশ্য দলের অন্দর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। যাঁরা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করেন, তাঁদেরই নাকি মন্ত্রিসভায় জায়গা দেন ইয়েদুরাপ্পা। সম্প্রতি কর্ণাটক মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন সাতজন নতুন মন্ত্রী। বুধবারই তাঁরা শপথ নেন।
এই প্রসঙ্গেই ইয়েদুরাপ্পাকে খোঁচা দিয়ে কর্ণাটক বিজেপির অন্যতম প্রবীণ নেতা বসনগৌড়া আর পাতিল বলেন, “যাঁরা সিডি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে কিংবা অনেক টাকা দেয়, তাঁদেরই ইয়েদুরাপ্পা মন্ত্রিসভায় স্থান দেন। এরকম অন্তত তিনজন রয়েছেন, যাঁরা ইয়েদুরাপ্পাকে ব্ল্যাকমেল করেছেন। অথচ তাঁদের মধ্যে দু’জন এখন মন্ত্রিসভার সদস্য। একজন সচিব। ইয়েদুরাপ্পা দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের কথা না ভেবে যাঁরা তাকে ব্ল্যাকমেল করে কিংবা সরকার ভেঙে দিতে চায় তাঁদের পছন্দ করেন।” পাতিল ছাড়াও দলের আরও বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর সাফ মন্তব্য, “কোনও বিজেপি বিধায়কের যদি মন্ত্রিসভা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকে, তাঁরা তাহলে দিল্লি যেতে পারে। সেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিজেদের সমস্ত অভিযোগের কথা তাঁরা জানাক। আমার তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এভাবে দলের ভাবমূর্তি যেন তাঁরা নষ্ট না করে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.