Advertisement
Advertisement

‘গোধরার মতোই বাংলার হিন্দুদেরও পালটা জবাব দিতে হবে’

বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের।

BJP MLA accussed that Hindus are not safe in West Bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 9, 2017 7:47 am
  • Updated:July 9, 2017 7:47 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে উত্তপ্ত ছিল বসিরহাট, বাদুরিয়া-সহ উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি এলাকা। বারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা হলে স্বাভাবিক হলেও অশান্তির আগুন এখনও নেভেনি। এর মধ্যেই বিজেপি বিধায়ক এইচ রাজা সিংয়ের বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হল। ২০০২ সালে গুজরাটে গোধরা কাণ্ডের সময় যেভাবে এগিয়ে এসেছিল হিন্দু সম্প্রদায়। ঠিক সেভাবেই আবারও তাঁদের এগিয়ে আসার ডাক দিলেন তেলেঙ্গানার গোশামহলের বিধায়ক।

[দেশের প্রথম হেরিটেজ শহরের স্বীকৃতি পেল আমেদাবাদ]

পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা নিরাপদে নেই। খুব বেশিদিন এরকম চললে এরাজ্য বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। এমনই দাবি রাজা সিংয়ের। বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা নিরাপদে নেই। তাই তাঁদের একজোট হতে হবে। ২০০২ সালে গোধরা কাণ্ডের মতোই ফের একবার তাঁদের জেগে উঠতে হবে। না’হলে পশ্চিমবঙ্গ দিনে দিনে বাংলাদেশে পরিণত হবে।’ এর পাশাপাশি রাজ্যের অস্থির পরিস্থিতির জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। রাজার দাবি, যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে তাদেরই সমর্থন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে রাজ্য সরকার তাদেরই সমর্থন জোগাচ্ছে। রাজ্যের ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষদের কাছে আমার আবেদন, হিন্দু সম্প্রদায়কে বাঁচাতে আপনাদের আরও সজাগ থাকতে হবে। না হলে কাশ্মীরে হিন্দু পন্ডিতরা যে অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন, সেরকম অত্যাচারের সামনে পড়তে হবে এ রাজ্যের হিন্দুদেরও। তারপর ধীরে ধীরে কাশ্মীরি পন্ডিতদের মতো ঘরছাড়া হয়ে যাবেন তাঁরা।’

Advertisement

[জঞ্জাল সাফাইয়েও এত রোজগার! দুই বন্ধুর বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে]

এদিকে, বাদুড়িয়া-বসিরহাটে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল কেন, জানতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাদের উসকানিতে সীমান্তবর্তী ওই এলাকা অগ্নিগর্ভে হয়ে উঠল, জানতে তদন্ত কমিশন গড়বে রাজ্য। শনিবার নবান্নে মমতা এমনটাই জানিয়েছেন। বলেন, ‘কুমিল্লার ভিডিও দেখিয়ে এই রাজ্যে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপির পার্টি অফিস থেকে ভোজপুরি সিনেমার দৃশ্যকে বাংলার বলে চালানো হচ্ছে। দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। যে দোষ করবে, তাকেই কড়া শাস্তি পেতে হবে।’ অশান্তি ছড়ানোয় ইতিমধ্যেই রাজ্যে হিন্দু সংহতি ও অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের মতো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও এদিন সাফ জানিয়েছেন মমতা। এর পাশাপাশি দার্জিলিং নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, দার্জিলিংয়ের অশান্তি পুরোপুরি প্ল্যানমাফিক। দিল্লির কথায় মোর্চা নেতারা অশান্তি ছড়াচ্ছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর তোপ, বারবার বলা সত্ত্বেও সিআরপিএফ পাঠায়নি কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “গত মাসের ৮ থেকে এ মাসের ৮ তারিখ হল। বারবার বলা সত্ত্বেও সিআরপিএফ দেওয়া হল না।” দার্জিলিংয়ের অশান্তির পিছনে বিদেশি শক্তির থাকার অভিযোগও তোলেন মমতা। তবে শনিবার ফের একবার মোর্চা নেতাদের বৈঠকে বসতে আহ্বানও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

[একই লাইনে মুখোমুখি দুই মনোরেল, তারপর…]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ