Advertisement
Advertisement

Breaking News

নন্দকিশোর গুর্জর কুরবানি

‘ইদে কুরবানি দিতে হলে নিজের সন্তানকে দিন’, বিজেপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক

কুরবানিতে পশুহত্যা নিয়ে সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি।

BJP MLA stokes controversy, asks Muslims to sacrifice children
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 28, 2020 12:01 pm
  • Updated:July 28, 2020 12:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন তিনেক বাদেই ইদ-উদ-জ্জোহা। তার আগে কুরবানিতে পশুহত্যা নিয়ে সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। বিতর্কের সুত্রপাত নন্দকিশোর গুর্জর (Nand Kishor Gurjar) নামের এক বিজেপি (BJP) বিধায়কের মন্তব্যে। গাজিয়াবাদের লোনি কেন্দ্রের ওই বিধায়কের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বছর ইদে পশুবলি দেওয়া উচিত নয় মুসলিমদের। আর নেহাতই যদি কুরবানি দিতে হয়, তাহলে নিজের সন্তানকে বলি দিন। নিরীহ পশুগুলিকে মারবেন না। বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে সমাজবাদী পার্টি।

বিজেপির ওই বিধায়ক নিজের অনুগামীদের বলছিলেন,”যেভাবে সনাতন ধর্মে এখন আর বলি দেওয়া হয় না। নারকেল ফাটিয়ে আমরা বলিদানের রীতি পালন করি। সেভাবেই মুসলিমদের আমি বলব, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছর কুরবানি বন্ধ রাখুন। নিরীহ পশুগুলিকে মারবেন না। ইদে কাউকে কুরবানি দিতে দেখা গেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি কেউ ভেবে থাকেন, না আমি বলি দেবই। তাহলে নিজের প্রিয় জিনিস, নিজের সন্তানকে বলি দিন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।” নন্দকিশোর গুর্জরের এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাঁকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে,”প্রকৃতির নিয়মই হল যে যেমন কাজ করবে, তাঁকে তেমন ফল পেতে হবে। এই জন্মে যদি আপনি ছাগল বা ভেড়া কেটে খান, তাহলে পরের জন্মে আপনাকেও ছাগল-ভেড়া হতে হবে। তখন লোকে আপনাকেও কেটে খাবে।” বিজেপি নেতার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবার আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ সইফুর রহমান। তিনি আবার বলছেন,”কোনও শক্তিই মুসলিমদের নমাজ পড়ার অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। বকরি ইদে আমরা বাজারেও যাব। কুরবানিও দেব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘রাস্তায় পশুহত্যা করবেন না’, বকরি ইদের আগে মুসলিমদের পরামর্শ মৌলানার]

উল্লেখ্য, ইদ-উদ-জ্জোহা (Eid-ul-Adha) বা বকরি ইদ নামে খ্যাত মুসলিম সম্প্রদায়ের এই অনুষ্ঠান গোটা বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়। রমজান মাসের পর যে ইদ-উল-ফিতর হয় তার প্রায় দুমাস বাদে হয় এই অনুষ্ঠান। বিভিন্ন দেশে ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও সব জায়গাতেই পশুবলি দিয়ে পালন করা হয় এই অনুষ্ঠানটি। তবে এই অনুষ্ঠানের পর পশুহত্যার যে ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা হয় তা দৃষ্টিকটু বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ