Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP

নবান্ন অভিযানের শুরুতেই ময়দান ছাড়া সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপ! ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মসূচির আগে ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ বঙ্গ বিজেপিকে।

BJP national leadership is upset with WB leaders during Nabanna Abhijaan | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 15, 2022 1:41 pm
  • Updated:September 15, 2022 2:17 pm

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নবান্ন অভিযানের (Nabanna Rally) শুরুতেই দলের তিন মুখ ময়দান ছাড়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কর্মীদের সামনে এগিয়ে দিয়ে শুভেন্দু, সুকান্ত ও দিলীপরা নিজেদের কেন গুটিয়ে নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি। ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়ার আগে পাঁচবার ভাবনাচিন্তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কারণ নেতৃত্বের আচরণ কর্মীদের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পরবর্তী কর্মসূচিতে কর্মীদের যুক্ত করা কঠিন হবে।

জানা যাচ্ছে, নেতাদের ভূমিকায় কেন্দ্রীয় নেতারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি খারিজ করে আদালতের উপর ভরসা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে বঙ্গ বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করছেন রবিশংকর প্রসাদ ও অমিত মালব্যর মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মত, সেটা আসলে ‘মুখরক্ষা’ ছাড়া আর কিছুই নয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিপদে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ মমতার, পুজোয় বেড়াতে যাওয়া বাতিল তৃণমূল নেতৃত্বের]

নবান্ন অভিযানের আগেরদিনই দলের সভায় অজুহাত দেখিয়ে বাংলা ছাড়েন পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। সাধারণ সম্পাদক সতীশ ধনদ থাকলেও এখনও রাজ্যে পা রাখেননি আরেক পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে ও সহপর্যবেক্ষক সুশ্রী আশা লাকড়া। ফলে সুকান্ত, শুভেন্দু ও দিলীপ ঘোষকে মুখ করেই নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা করে। বঙ্গ পার্টির তিন হেভিওয়েট নেতাকে শেষ পর্যন্ত মাটি কামড়ে লড়াই করার নির্দেশ দেয় বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাস্তবে ঘটনা ঘটল ঠিক তার উলটো। নবান্ন অভিযান শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ কলেজ স্ট্রিট চত্বরে একটি সভায় বক্তব্য রেখেই বাড়ি চলে যান। আর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার বরণ করেন।

Advertisement

মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে দিল্লির নেতাদের মধ্যে তুমুল উৎসাহ থাকায় সারাদিন টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছিলেন। কিন্তু দিনের শেষে হতাশ হতে হয় তাঁদের। যেভাবে দলের নেতারা নবান্ন অভিযানের রাশ নিজেদের হাতে না রেখে কর্মীদের উপর ছেড়ে দেন তা ঠিক হয়নি বলে মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। চলতি সপ্তাহে বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের। বৈঠকে নবান্ন অভিযানে নেতৃত্বের পলায়নমুখী মনোভাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। তার আগে নবান্ন অভিযানের সবিস্তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে লড়াকু কর্মীদের কথা ভেবে প্রকাশ্যে নেতৃত্বের সমালোচনা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

[আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে এবার CID’র নজরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শুক্রবার ভবানী ভবনে তলব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ