সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে শেষ বাজেট মোদি সরকারের। অরুণ জেটলির অসুস্থতার জন্য লোকসভায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ভোটের আগে শেষ বাজেটে একাধিক জনমোহিনী প্রকল্প ঘোষণার সম্ভাবনা। এক নজরে বাজেট…
- ২ কোটি টাকা স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে কর ছাড়। ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদে ছাড় পাওয়া যাবে।
- ২০২০ পর্যন্ত নতুন বাড়ি কেনা বা তৈরি করলে, আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে। বাড়ি বিক্রির মাধ্যমে হওয়া আয়ের ক্ষেত্রে ২ বছর পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যাবে।
- ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে করছাড়ের প্রস্তাব। এককথায় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হল করছাড়ের উর্ধ্বসীমা। প্রভিডেন্ট ফান্ডের দৌলতে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাবেন মধ্যবিত্তরা।
- তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ বেড়ে প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা করা হল।
- ২০১৯-২০ তে রাজস্ব ঘাটতি ৩.৪ শতাংশ। আগামী বছর কমানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রকল্পের জন্য বাড়াতে হয়েছে, নাহলে তা ৩.৩ শতাংশ হল।
- আগামী ১০ বছরের কথা মাথাই রেখে পরিকল্পনা গোয়েলের।
- আগামী ৮ বছরের মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখলেন অর্থমন্ত্রী।
- মধ্যবিত্তর জন্য দুঃসংবাদ বাড়ল না আয়কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা। এখনও পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের ঘোষণা নেই।
- নতুন কোনও করছাড়ের ঘোষণা নেই। জিএসটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কর সংস্কার। জিএসটির সরলীকরণ করা হয়েছে, দাম কমছে। নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের ব্যবহার্য জিএসটি শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।
- আয়কর দপ্তরের সব কাজ এখন অনলাইনে।৯৯.৫৪ ক্ষেত্রে আয়কর জমার সঙ্গে সঙ্গে রিটার্ন শুরু হয়ে গিয়েছে।
- ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের তুলনায় কর সংগ্রহ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।গত আর্থিক বছরে ১২ লক্ষ কোটি প্রত্যক্ষ কর আদায় হয়েছে। প্রত্যক্ষ করা ব্যবস্থা সহজ করা হয়েছে। আমরা সেই টাকা সঠিক পরিকাঠামো তৈরি করেছে।
- নতুন রেল, কলকাতা বারাণসী কন্টেনার কার্গো পরিষেবা। রেল মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ।
- পাঁচ বছরে ১ লক্ষ ডিজিটাল ভিলেজ তৈরি করবে সরকার।
- ব্রডগেজ লাইনে গোটা দেশে আর কোনও রক্ষীহীন লেভেল ক্রসিং নেই।
- এক পদ এক পেনশনে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার।
- প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট ৩ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বাড়ানো হল, সেনায় কর্মরতদের বেতন অনেকটা বাড়িয়েছে সরকার: গোয়েল।ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় কর্মরত সেনা জওয়ানদের অতিরিক্ত ভাতা।
- শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের বোনাসের পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার থেকে বেড়ে ৭ হাজার টাকা করা হচ্ছে। যাদের বেতন ২১ হাজার টাকার কম, তারা এই সুবিধা পাবেন।
- শ্রমিকদের পেনশন বেড়ে দ্বিগুণ হল, ১৫ হাজারের কম বেতনের শ্রমিকদেরও পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে।
- ভারত স্টার্টআপের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
- উজ্বলা যোজনার আওতায় ৬ কোটি রান্নার গ্যাস বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর পর্যন্ত ৮ কোটি পরিবারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।
- গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ পরিমাণ ১০ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা।
- অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৪২ কোটি মানুষ কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধারী যোজনার আওতায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা অবসরের পর মাসিক ৩ হাজার টাকা করে নিশ্চিত পেনশন পাবেন। মাসিক প্রিমিয়াম মাত্র ৫৫ টাকা থেকে শুরু।
- সব শ্রেণির শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ৪২ শতাংশ বেড়েছে। ১৫ হাজার কমে বেতনের শ্রমিকরা ইপিএফে নাম নথিভুক্ত করালে পেনশন। কর্মরত শ্রমিকদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ আড়াই লক্ষ থেকে বেড়ে ৬ লক্ষ হয়েছে।ইএসআই সুবিধাভোগী শ্রমিকদের মাসিক সাহায্যের পরিমাণ ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করা হল।
- সপ্তম বেতন কমিশন লাগু হয়েছে। ২ কোটি এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে।এতেই বোঝা যায় দেশে বেকারত্ব কমছে: গোয়েল
- গোমাতার সুরক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছে কামধেনু যোজনা।পশুপালনে বরাদ্দ ৭৫০ কোটি টাকা।
- আলাদা মৎস্য মন্ত্রক তৈরি করছে সরকার।এবার পশুপালনের ক্ষেত্রেও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ পাওয়া যাবে। যে কৃষকরা পশুপালন এবং মৎস্যচাষের জন্য কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নেবেন তাদের ২ শতাংশ সুদে ছাড়।
- প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি নামের ঐতিহাসিক যোজনা আনছে সরকার। যাদের ২ হেক্টর পর্যন্ত যাদের জমি আছে তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি বছরে ৬ হাজার টাকা দেবে সরকার। কৃষকদের সহায়তার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকা করে পৌঁছাবে। প্রায় ১২ কোটি কৃষক এই সুবিধা পাবেন। মোট খরচ ৭৫ হাজার টাকা।৩ ভাগে ভাগ হয়ে ২ হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।
- ইতিমধ্যেই ৯৮ শতাংশ গ্রাম্য বাড়িতে শৌচাগার বানানো সম্ভব হয়েছে।
- কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে এই প্রথমবার ২২ টি ফসলের ন্যূনতম সমর্থনমূল্য অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
- রাজ্যগুলিকে মোট আয়ের ৪২ শতাংশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
- বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা যোজনার আওতায় প্রায় ৫০ কোটি মানুষ পরিষেবা পাবেন। ইতিমধ্যেই গরিব, মধ্যবিত্তদের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ বেঁচেছে।
- সৌভাগ্য যোজনার আওতায় দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বিনামূল্যে বিদ্যুত পৌঁছে দিয়েছি। ২০১৯ শেষ হওয়ার আগে বাকি ইচ্ছুকদেরও বিদ্যুত পরিষেবা দেওয়া হবে।
- পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনরা অধীনে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ঘর তৈরি করেছে সরকার।
- আমরা গ্রাম ও শহরের বিভেদ ঘুচিয়ে দিতে চাই। গ্রামগুলিকে নতুন করে সাজাতে সমস্তরকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
- মনরেগার (১০০ দিনের কাজ) জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
- উচ্চবর্ণের সংরক্ষণের জন্য যাতে অন্য সংরক্ষণ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে ২ লক্ষ অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করা হবে।
- উন্নয়নের নিরিখে সঠিক দিশায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ: গোয়েল।
- এখন বড় ব্যবসায়ীদেরও ঋণ শোধ করতে হয়, আগে বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ শোধ করার জন্য চাপ দেওয়া হত না।ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ কোটির খারাপ ঋণ উদ্ধার করা হয়েছে।
- “ইউপিএ আমলে এনপিএ বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু সেই সব ঋণকে এনপিএ হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। আমরাই সাহস দেখিয়েছি খারাপ লোনকে এনপিএ হিসেবে ঘোষণা করার”, বললেন গোয়েল।
- কৃষকদের আয় বেড়েছে, দুর্নীতি কমেছে, দাবি ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রীর। দেশে ২১৯ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে বিদেশি সংস্থাগুলি।
- পরিবার পিছু খরচের ক্ষমতা বেড়েছে ভারতের।
- ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কোমর ভেঙে দিয়েছে এই সরকার, মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে গতবছর ৩.৮ শতাংশ করা হয়েছে।
- ২০১৩-১৪ সালে বিশ্বের একাদশ বৃহত্তম অর্থনীতি ছিল ভারত, কিন্তু আপাতত ষষ্ঠ স্থানে, বললেন পীযূষ গোয়েল।
- আমি গর্বের সঙ্গে বলছি, ভারত ঠিক দিকে এগোচ্ছে, আমরা ২০২২’এর মধ্য নতুন ভারত গড়ার শপথ নিয়েছি: গোয়েল।
- বাজেট বক্তব্য শুরু করলেন পীযূষ গোয়েল।
- বাজেটের আগেই সংসদে বিক্ষোভ টিডিপি সাংসদদের। অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাখেচ্ছেন তাঁরা।
- লোকসভার আগে মানুষের মন পেতে অবাস্তব প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র, দাবি লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের।
- বাজেট পেশের আগে চাঙ্গা শেয়ার বাজার, সেনসেক্স বেড়েছে ১৫১ পয়েন্ট, আপাতত সূচক ৩৬ হাজার ৮০৮. ১৩ পয়েন্টে।
- সকাল ১০ টায় সংসদে পৌঁছেছেন অর্থমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।