সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বার্ষিক লেনদেন দেড় কোটির কম? চিন্তা নেই। পেনশন পাবেন। ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। প্রধানমন্ত্রী কর্মযোগী জনধন প্রকল্পের আওতায় প্রায় তিন কোটি খুচরো ব্যবসায়ী ও দোকানদার এর ফলে উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: মেধাবী ও বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য ‘ভারতে পড়ুন’ প্রকল্প ঘোষণা বাজেটে]
বহুদিন ধরেই দোকানদার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পেনশনের দাবি করে আসছিলেন। তাঁদের চাহিদা মেনে ৬০ বছর বয়স হলেই এই শ্রেণির ব্যবসায়ীদের মাসে তিন হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পেনশন প্রকল্পের নিয়মও আরও সহজ করা হয়েছে। পেনশন পাওয়ার জন্য কী করতে হবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের? স্রেফ ১২ সংখ্যার আধার নম্বর ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ দিলেই চলবে। যে কোনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দোকানদার এই প্রকল্পে অংশ নিতে পারেন। ৫০: ৫০ ফরমুলায় কাজ হবে। অর্থাৎ যিনি এই পেনশন প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান, বয়েসের ভিত্তিতে আগাম হিসেব করে তাঁকে অর্ধেক টাকা দিতে হবে। আর অর্ধেক টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। পেনশন গ্রহীতা আর সরকার সমপরিমাণ টাকা দেবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের আশা, আগামী তিন বছরে দেশের অন্তত পাঁচ কোটি নতুন ব্যবসায়ী এই পেনশন প্রকল্পে শামিল হবেন। শুক্রবার সংসদে বাজেট পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ জানিয়েছেন, জিএসটি-তে নথিভুক্ত সমস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান নতুন এবং বর্ধিত ঋণের ক্ষেত্রে দুই শতাংশ সুদে ভরতুকি পাবে। এই প্রকল্পে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে। বিপুল জনমত নিয়ে ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে মোদি সরকার। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ।