Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইস্তফা দিলেন যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর

আইনি পথেই লড়াইয়ের বার্তা৷

Central Minister M J Akbar resigns
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 17, 2018 5:21 pm
  • Updated:October 17, 2018 6:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ বিতর্কের পর অবশেষে বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত এম জে আকবর৷ প্রখ্যাত এই সাংবাদিকের ইস্তফা দেওয়া নিয়ে আগেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে৷ শোনা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নাকি আগেই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন  আকবর৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি আগে৷ তবে বুধবার এই বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে৷ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছে এম জে আকবরের ইস্তফাপত্রের প্রতিলিপিও৷

[সবরীমালা নিয়ে অশান্তির মধ্যেই বিদেশে পাড়ি বিজয়নের, তুঙ্গে বিতর্ক]

Advertisement

#MeToo অভিযান ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় তুলেছে দেশে৷ একে একে সেই তিরে বিদ্ধ হচ্ছেন রাজনীতি  থেকে সিনেমা  এবং  সংবাদ জগতের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা৷ এম জে আকবরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন একাধিক মহিলারা৷ অভিযোগকারিণী প্রায় সকলেই কোনও না কোনও সময়ে এম জে আকবরের অধীনে কাজ করেছেন৷ তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার বলপূর্বক তাঁদের যৌন হেনস্তা বা শ্লীলতাহানি করেছেন বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর৷ প্রথমে চুপ থাকলেও গত সপ্তাহে বিদেশ থেকে ফিরে এই বিষয়ে মুখ খোলেন প্রখ্যাত এই সাংবাদিক৷ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি৷ হুঁশিয়ারি দেন আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও৷ ইস্তফাপত্রেও এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন এম জে আকবর৷  জানিয়েছেন, আইনি পথেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন৷ সঙ্গে সঙ্গে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকেও৷

Advertisement

[কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে বড় সাফল্যে, যৌথ অভিযানে নিকেশ ৩ জেহাদি]

এদিকে মোদি সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা৷ নৈতিকতার বিচারে আকবরের পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি তাঁদের৷ কেবল বিরোধীরাই নয়, বিজেপির অন্দরেও আকবরকে নিয়ে মতান্তর তৈরি হয়েছে৷ প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও অনেকেই এই অভিযোগকে গুরুতর বলে মনে করছেন৷ যদিও দলীয় তরফে বিজেপি আগে জানায় যে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে আকবরকে ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসকদলকে চাপে রাখতে সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিরোধীরা৷ লোকসভার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নামে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠার বিষয় আসন্ন নির্বাচনে তাঁদের অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পদ্ম শিবিরও৷

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ