সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুদাম থেকে খোলা বাজারে জোগান কম। মুদ্রাস্ফীতি এবং বেশি দামের কারণে খুচরো বাজারে চাহিদাও কম। অথচ মজুত বেশি। ফলে গুদামে পচছে পিঁয়াজ। তাই নিরুপায় হয়ে এবার ২২ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত তিন মাস ধরে পিঁয়াজের দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। এখনও ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন শহরে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার কেন্দ্র ঘোষণা করল, গুদামে পড়ে থাকা পিঁয়াজ রাজ্যগুলিকে আরও সস্তায়, মাত্র ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হবে। যার সুফল পাবেন গরিব মানুষও।
ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের সচিব অবিনাশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, আগামী দু’দিনের মধ্যেই বিদেশ থেকে আরও চার হাজার টন পিঁয়াজ এসে পৌঁছবে। জানুয়ারির শেষে এসে পৌঁছবে আরও ১৪ হাজার টন। তা পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন শহরে। পিঁয়াজের দাম বাড়ার পর চাহিদার কথা মাথায় রেখে মোট ৩৬ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানির বরাত দেয় সরকার। সেই মতো তুরস্ক, মিশর এবং আফগানিস্তান থেকে ১৮ হাজার টন পিঁয়াজ এসেছে ভারতে। আমদানি করা ওই বিপুল পরিমাণ পিঁয়াজ বিক্রি করা যায়নি। কারণ, কোনও রাজ্যই আমদানি করা পিঁয়াজ কেন্দ্রের থেকে কেনার আগ্রহ দেখায়নি। কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান (Ram Vilas Paswan) মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘মোট ১৮ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানি করা হলেও, এখনও পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার টন পিঁয়াজই বিক্রি হয়েছে। তাই মজুত করা পিঁয়াজ নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এখন ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: প্রার্থী তালিকায় দুই দাঙ্গায় অভিযুক্তের নাম, দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগেই বিতর্কে আপ]
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয়, যখন পিঁয়াজের দাম উর্ধ্বমূখী ছিল, তখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শুধু একে অপরকে দোষারোপ করে গিয়েছে। যার জেরে ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অথচ, সেসময় পিঁয়াজ কেন্দ্রের গুদামেই মজুত ছিল। স্রেফ রাজ্য ও কেন্দ্রের সমন্বয়ের অভাবে আম আদমিকে বেশি দামে পিঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এখন আবার কেন্দ্রের গুদামে সেই পিঁয়াজই পচে নষ্ট হচ্ছে।