Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভোটের আগে ফের বড় ঘোষণার ইঙ্গিত, বাড়তে পারে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা

ইঙ্গিত দিলেন অরুণ জেটলি।

centre to increase farm aid!
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 4, 2019 9:03 am
  • Updated:February 4, 2019 9:08 am

দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: ভবিষ্যতে কৃষকদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রকল্পে মাসিক ৫০০ টাকা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজ্যগুলি তাদের নিজ নিজ আয় সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমেও কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পারে। ২০১৯-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য বার্ষিক ছ’হাজার টাকার সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী সেই প্রকল্পকে কটাক্ষ করে বলেন, “দিনে ১৭ টাকা দেওয়া কৃষকদের অপমান।” রবিবার জেটলি সোশ্যাল সাইটের একটি ব্লগে পাল্টা লেখেন, “বিরোধী নেতার এবার পরিণত হওয়া উচিত। তাঁর বোঝা দরকার এটা জাতীয় নির্বাচন, কলেজ ইউনিয়নের ভোট নয়।” বর্তমানে চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সে কারণে এবার সংসদে বাজেট পেশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বাজেট বিতর্কের জবাব দিতেও তিনি দেশে ফিরতে পারবেন বলে এদিন ইঙ্গিত করেছেন জেটলি।

[৩০ বছর পর পাটনার গান্ধী ময়দানে সভা কংগ্রেসের, মোদিকে নিশানা রাহুলের]

২০১৮-র বাজেটে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি কৃষিক্ষেত্রে জোর দিয়েছিলেন। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেড়গুণ করেছিলেন। তবে প্রকৃতপক্ষে কৃষককুলের ব্যাপক অংশ তার সুবিধা পায়নি বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। তাই এবার আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কেন্দ্র সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। বাজেটের আগেই অবশ্য আভাস মিলেছিল। বাজেটে গোয়েল ঘোষণা করেন, দুই হেক্টরের কম জমি রয়েছে এমন কৃষকদের প্রতি বছর সমান তিন কিস্তিতে মোট ছ’ হাজার টাকা ‘প্রত্যক্ষ আয় সহায়তা’ দেওয়া হবে।

Advertisement

[‘আমার কিছু হলে দায়ী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী’, হুঁশিয়ারি আন্নার]

কার্যকর হবে ২০১৮-র অর্থবছরের ডিসেম্বর থেকে। এই খাতে বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আপাতত অবশ্য বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের দাবি, প্রতিবছর ১২ কোটি ছোট ও প্রান্তিক কৃষক বাড়ি, ভরতুকি মূল্যে খাদ্য, বিনামূল্যে চিকিৎসা, বিনামূল্যে শৌচালয়ের সুবিধা, বিদ্যুৎ, রাস্তা, রান্নার গ্যাসের সংযোগের পাশাপাশি এই আর্থিক সহায়তা পাবেন। জেটলি বলেন, “এটা প্রথম বছর। আমার বিশ্বাস সরকারের সম্পদ বাড়লে এই সহায়তাও বাড়বে। এদিকে, নতুন সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগের বিরোধিতা করা নিয়ে রবিবার নিজের ব্লগে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সমালোচনা করেছেন জেটলি। তাঁর মন্তব্য, বিরোধিতা ‘স্বভাবে’ পরিণত হয়েছে খাড়গের। সেকারণেই সরকারের সব কাজেই বিরোধিতা করছেন তিনি। নতুন সিবিআই প্রধানের নির্বাচনেও তাই একমাত্র তিনিই ভিন্ন মত পোষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জেটলি।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ