Advertisement
Advertisement

Breaking News

অনিল

চিনের ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ, আরও বিপাকে অনিল আম্বানি

ইতিমধ্যেই দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে অনিল আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস।

Chinese banks claim Anil Ambani took vast sum as loan
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 18, 2019 9:47 pm
  • Updated:June 19, 2019 11:50 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনিল আম্বানির ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়ছে। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও পাল্লা দিচ্ছে ঋণের পরিমাণ। কিছুদিন আগেই ঋণের দায়ে দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে রিলায়েন্স কমিউনিকেশন। ইতিমধ্যেই সংস্থাটি নিজেদের সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ শোধ করার উদ্যোগও নিয়েছে। কিন্তু, এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করল চিনের একাধিক ব্যাংক। চিনের ব্যাংকগুলির দাবি, আম্বানির দেউলিয়া ঘোষিত হওয়া সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশন তাদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে। ডলারের হিসেবে যার পরিমাণ প্রায় ২১০ কোটি।

[আরও পড়ুন: দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের স্বীকৃতি, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হলেন অধীর]

চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্সিয়াল ব্যাংক অব চায়না এবং এক্সিম ব্যাংক অব চায়না দাবি করছে, আম্বানির সংস্থাকে তারা ঋণ বাবদ কয়েক হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এর মধ্যে একা চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকই আম্বানিকে ঋণ দিয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৯ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। এক্সিম ব্যাংক অব চায়না দিয়েছে ৩ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্সিয়াল ব্যাংক অব চায়নার দাবি, তাঁরা আম্বানির সংস্থার কাছে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা পায়। ভারতের একটি বিশেষ আদালত রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের বিরুদ্ধে দেউলিয়া মামলাটি শুনছে। আদালতে অনিল আম্বানির তরফে জানানো হয়েছে, সংস্থার সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণদাতাদের টাকা শোধ করার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কটা উইকেট পড়ল?’, সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করে বিতর্কে বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী]

মুশকিল হল দেউলিয়া হয়ে যাওয়া রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের সম্পত্তি বড় বেশি বাকি নেই। সদ্য রাফালের বরাত পাওয়ার পর আম্বানির সংস্থা কিছুটা অক্সিজেন পেলেও ‘বিজনেস টুডে’ ম্যাগাজিন সম্প্রতি দাবি করেছে, অনিল আম্বানির অবশিষ্ট সম্পত্তির পরিমাণ একশো কোটি ডলারেরও কম। এই পরিস্থিতিতে আবারও ভাইয়ের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছিলেন মুকেশ আম্বানি। ছোট ভাইয়ের দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সংস্থাটিকেই ১৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় কিনতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত বেশ বিপাকে মুকেশ। তাঁর সম্পত্তির খদ্দের জোটাতে না পারলে ঋণ শোধ করার কোনও উপায়ই তাঁর কাছে থাকবে না।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ