সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে ফের আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ‘ড্রাগন’। আবারও ভারতের বায়ুসীমায় অনুপ্রবেশ করল চিনা যুদ্ধবিমান। পালটা, ফাইটার জেট পাঠিয়ে হানাদার বিমানটিকে রুখে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা বলে খবর।
২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। ২০ জওয়ানের প্রাণের বিনিময়ে হানাদারদের রুখে দেয় ভারতীয় ফৌজ। তারপর সামরিক স্তরে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হলেও লাদাখে সেই অর্থে পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। এহেন পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, গত জুনের শেষের দিকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে হানা দেয় চিনের একটি যুদ্ধবিমান। দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুর এত কাছে লালফৌজের বিমানের আনাগোনা রীতিমতো উদ্বেগের। জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে ভারতের বায়ুসীমায় ঢুকে পড়েছিল চিন জেটটি। কিন্তু রাডারে বিমানটির গতিবিধি ধরা পড়ে যায়। তারপরই ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর’ মেনে আকাশে ডানা ,এলে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। রুখে দেওয়া হয় হানাদারকে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, লাদাখ সীমান্তের ওপারে সামরিক মহড়া চালাচ্ছিল চিন। তখনই হানা দেয় লালফৌজের বিমান। লাদাখ সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কমান্ড। একইসঙ্গে অঞ্চলটির আকাশসীমার নিরাপত্তার ভার রয়েছে বায়ুসেনার ওয়েস্টার্ন কমান্ডের হাতে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই অঞ্চলে লালফৌজের যে কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ রুখে দিতে সক্ষম সেনা। ট্যাঙ্ক, কামান, যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের হাতিয়ার নিয়ে সেখানে সুসজ্জিত বাহিনী রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই এক রিপোর্টে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছিল, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) সীমান্তের ওপারে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তৎপরতা নজরে এসেছে। সেখানে ২৫টি অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ। আগে ওই এয়ারবেসে মিগ-২১-এর মতো বিমান রাখত চিন। কিন্তু এবার আধুনিক ও জটিল যুদ্ধে সক্ষম জে-১১ এর মতো বিমান মোতায়েন চিন্তার বিষয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.