Advertisement
Advertisement
Doklam

ডোকলামে গ্রাম বানাল চিন, এবার ড্রাগনের নজরে কি শিলিগুড়ির ‘চিকেন নেক’?

শিলিগুড়ি করিডর সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Chinese village in Doklam plateau emerge in Satelite images | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 20, 2022 2:55 pm
  • Updated:July 20, 2022 8:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৭ সাল নাগাদ ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী গ্রামাঞ্চল ডোকলাম (Doklam) নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে একপ্রস্থ উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আর এবার স্যাটেলাইট সূত্রে পাওয়া সাম্প্রতিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে ডোকলামের ৯ কিলোমিটার পূর্বে একটি আস্ত গ্রাম তৈরি করেছে চিন। এদিকে আবার ভারতের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সড়ক বানাচ্ছে ড্রাগন। সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দফায়-দফায় দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর মাঝেই এই উপগ্রহ চিত্র সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, এই নবনির্মিত এলাকায় প্রচুর ছোট ছোট বাড়ি বানানো হয়েছে। আর প্রতিটি বাড়ির সামনেই পার্ক করা রয়েছে একটি করে গাড়ি। এই নতুন নগরকে বেজিং ডাকছে ‘প্যাংডা’ নামে। অঞ্চলটি ভূটানের (Bhutan) অভ্যন্তরে বলেই মনে করা হচ্ছে। তলায়-তলায় ভূটানের জমি দখল করেই তিল তিল করে এই অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শহিদ দিবসে বিশেষ ড্রেস কোড তৃণমূলের, জানেন কী পরবেন নেতা-মন্ত্রীরা?]

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমো-ছু নদীর অববাহিকার বিস্তৃত অঞ্চল এবং ভূটানের ১০ কিলোমিটার অঞ্চল দখল করেই এই নতুন গ্রামটি তৈরি করা হয়েছে। আমো-ছু নদী অববাহিকা অঞ্চলটি সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর গায়েই রয়েছে সংবেদনশীল শিলিগুড়ি করিডর। এই চিকেন-নেক করিডরই বাকি দেশের সঙ্গে যুক্ত করেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে। তাই ওই রাজ্যগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে করিডর দখলে রাখতেই হবে।

২০১৭ সালে ডোকলাম গ্রাম দখল করে এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার এক অশুভ চেষ্টা করেছিল লাল ফৌজ। সে দফায় চেষ্টাটি ব্যর্থ করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল এবার একই এলাকা দখল নিতে একটু ঘুরপথে ভুটানের দিক থেকে চেষ্টা শুরু করেছে চিন (China)।

২০১৭ সালে ডোকলামে অশান্তি হওয়ার সময়ে এলাকার দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত লেঃ জেনারেল প্রবীণ বক্সি জানাচ্ছেন, প্যাংডা গ্রাম এবং তার উত্তর ও দক্ষিণ দিক বরাবর চিনের দখলে তৎপরতা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ডোকলাম এবং ঝাম্পেরি এলাকার উপর গোপনে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বেজিং।

[আরও পড়ুন: সতর্কবার্তা শুধু সিগারেট-মদে! বাকি ক্ষতিকারক খাবারে নেই কেন? উঠছে প্রশ্ন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ