Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহিদদের বলিদানে চুপ থাকে না ভারত, গুনে গুনে হিসাব নেয়: নরেন্দ্র মোদি

চৌকিদারকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা, অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর।

Modi Warns Pak, Rips Into Opposition
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 3, 2019 7:01 pm
  • Updated:March 3, 2019 7:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “বীর জওয়ানদের বলিদানের পর আর চুপ করে বসে থাকে না ভারত। গুনে গুনে হিসাব নেয়।” রবিবার বিহারের রাজধানী পাটনার গান্ধী ময়দানে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে এই মন্তব্যই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় এক দশক বাদে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিয়ে প্রথমেই পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানান তিনি। বলেন, “পুলওয়ামাতে মৃত শহিদদের স্যালুট করি। আজ গোটা দেশ ওই শহিদদের পরিবারের পাশে আছে।”

তারপরই বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “ওরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিল। এখন বায়ুসেনার অভিযানের প্রমাণ চাইছে। আমি কংগ্রেস ও অন্যান্য দলগুলোর কাছে জানতে চাই, কেন তারা এভাবে সেনাবাহিনীর মাথা নিচু করতে চাইছে? কেন তাদের মনোবল ভাঙতে চাইছে? কংগ্রেস কেন এমন মন্তব্য করছে যাতে শত্রুরা লাভবান হয়। যখন আমরা সন্ত্রাসবাদের কারখানাকে ধ্বংস করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি, তখন ২১টি দল আমাদের প্রশ্ন করার জন্য এক হচ্ছে। এতে অবশ্য পাকিস্তান খুশি হচ্ছে। তাদের কথার তারিফ করছে। দেশের নিরাপত্তার রক্ষার ক্ষেত্রে বিরোধীদের আচরণ সন্তোষজনক নয়। আসলে বিরোধীরা মোদিকে ধ্বংস করতে চাইছে। আর মোদি চাইছে সন্ত্রাসকে ধ্বংস করতে। কয়েকদিন ধরেই চৌকিদারকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কিন্তু, নিশ্চিন্তে থাকুন আপনাদের চৌকিদার সবসময় সর্তক রয়েছে। এটা নতুন ভারত। এখানে কোনও আত্মত্যাগকেই বিফলে যেতে দেব না আমরা। প্রতিটি ঘটনার যোগ্য জবাব দেব।”

Advertisement
[মাসুদ আজহার শয়তানের কুকুর, ফের তোপ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির]

একসময়ে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে অন্যতম বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মোদির বিরোধিতা করে এনডিএ ছেড়েছিলেন। পরে মোদির বিরুদ্ধে বিহারকে বিশেষ আর্থিক মর্যাদা না দেওয়ার অভিযোগও আনেন। সেই নীতীশ কুমার পাশে বসিয়ে আজ বিহারের জন্য কী কী কাজ করেছেন তা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারের কাজের প্রশংসাও করলেন। বললেন, “পশুখাদ্য নিয়ে কী হয়েছিল তা বিহারের সব মানুষ ভালভাবে জানেন। দশকের পর দশক ধরে যে দুর্নীতি ও মধ্যসত্ত্বভোগীদের সংস্কৃতির শিকড় বিহারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জাঁকিয়ে বসেছিল তা একমাত্র আমরাই সাহস করে উপড়ে ফেলতে পেরেছি। আমি এটা দেখে খুশি যে গরিবদের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত নীতীশবাবু। তাদের উন্নতির জন্য সর্বদা চেষ্টা করছেন। এর জন্য তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাঁর নেতৃত্বেই অতীতের কলঙ্কময় ইতিহাস মুছে নতুন রূপে সেজে উঠছে বিহার।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ