সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সাত বছরে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে নেহাত কম গালমন্দ করেননি বিজেপি (BJP) নেতারা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেহেরুকে একাধিক ইস্যুতে কাঠগড়ায় তুলেছেন। বাদ যায়নি প্রথম প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরাও। এবার নেহেরুকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস থেকেই ছেঁটে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানের যে পোস্টার কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ করেছে তাতে সাভারকরের ছবি থাকলেও নেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর ছবি।
It is not merely petty but absolutely ahistorical to celebrate Azadi by omitting the pre-eminent voice of Indian freedom, Jawaharlal Nehru. One more occasion for ICHR to disgrace itself. This is becoming a habit! pic.twitter.com/wZzKCvYEcD
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) August 27, 2021
দেশের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালন করছে কেন্দ্র। Indian Council of Historical Research-এর ওয়েবসাইটে সম্প্রতি সেই অনুষ্ঠানের পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। যে পোস্টারে ছবি রয়েছে মহত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগত সিংদের। এমনকী, জেল থেকে মার্সি পিটিশনে সই করা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের ছবিও রয়েছে। অথচ, তা থেকে বাদ স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সেনানী জওহরলাল নেহেরু। যা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস (Congress)। একযোগে এ নিয়ে সরব হয়েছেন শশী থারুর (Shashi Tharoor), গৌরব গগৈ, টি এস সিং দেওরা।
[আরও পড়ুন: ADR Report: আয়ের নিরিখে জাতীয় দলগুলির মধ্যে শীর্ষে BJP, ধারেকাছে নেই কংগ্রেস-সহ বাকিরা]
কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, প্রতিহিংসাপরায়ণ বিজেপি নেহেরুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চাইছে। শশী থারুর বলছেন, এটা শুধু দুঃখজনক নয় ইতিহাসের বিকৃতিও বটে। গৌরব গগৈয়ের প্রশ্ন, “আর কোনও দেশ কি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস থেকে দেশের প্রথম নেতাকে সরিয়েছে। ICHR যেভাবে পোস্টার থেকে নেহেরু এবং আবুল কালাম আজাদের ছবি সরিয়েছে সেটা অন্যায় এবং নিন্দনীয়।”
[আরও পড়ুন: টুইটার ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে #TMCPFoundationDay, মমতার ভারচুয়াল ভাষণে থাকবে প্রশ্নোত্তর পর্বও]
নিন্দুকেরা বলেন পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু (Jawaharlal Nehru) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আর যাই হোন, প্রিয়পাত্র নন। বিশেষত মোদি জমানায় দেশের যে কোনও সমস্যার জন্যই যেভাবে নেহেরুকে দায়ী করা হয়, তাতে নিন্দুকদের ধারণা আর পোক্ত করেছে। অন্তত রাজনৈতিকভাবে পণ্ডিত নেহেরুর প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে তেমন শ্রদ্ধাশীল নন, তা একাধিকবার তাঁর নিজের বক্তব্যেই বোঝা গিয়েছে। Indian Council of Historical Research-এর এই পদক্ষেপে আবারও সেটা প্রমাণ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।