সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের টানাপোড়েন নিয়ে এবার সরকারকে বিঁধলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi )। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির দাবি, সরকারকে নিশ্চিত করে বলতে হবে, কোনও চিনা সেনা ভারতের সীমানায় প্রবেশ করেনি।
Can GOI please confirm that no Chinese soldiers have entered India?https://t.co/faR5fxEqQO
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 3, 2020
[আরও পড়ুন: ‘লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন বহু চিনা সেনা’, অবশেষে স্বীকার করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী]
লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনা নিয়ে গত কয়েকদিনে একাধিকবার সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাঁদের অভিযোগ, চিনের প্রতি প্রত্যাশিত কঠোর মানসিকতা দেখাতে ব্যর্থ মোদি সরকার। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের নীরবতা নিয়েও সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে,”চিন সীমান্তের বর্তমান স্থিতি নিয়ে সরকারে নীরবতা বহু জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিচ্ছে। যা এই সংকটের সময় কাম্য নয়।” এবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি আর রাখঢাক না করে সরাসরিই প্রশ্ন তুললেন, “সরকার কি নিশ্চিত করে বলতে পারবে, একজন চিনা সেনাও সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি?” এই প্রশ্নের মাধ্যমে আসলে রাহুল বোঝাতে চাইলেন, চিনা সেনাবাহিনী ভারতের সীমান্তে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করে ফেলেছে। অথচ সরকার তা নিয়ে নীরব।
[আরও পড়ুন: লাদাখে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ, বৈঠকে বসছেন ভারত ও চিনের লেফটেন্যান্ট জেনারেলরা]
উল্লেখ্য, গত প্রায় ৪ সপ্তাহ ধরে লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) বরাবর একপ্রকার যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষের বাতাবরণ সৃষ্টি হলেও সরকারিভাবে ভারত এ নিয়ে মুখ খোলেনি। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে (Rajnath Singh) জানান, “লাদাখের বিভিন্ন সেক্টরের একাধিক ফরোয়ার্ড পোস্টে চিন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। জবাবে ভারতও বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে।” প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, দুই দেশের বাহিনী ৫০০ মিটার দূরত্বে মুখোমুখি অবস্থান করছে। প্রায় ২৫ দিন ধরে লালফৌজ গালওয়ান নদী উপত্যকা, দারবুক, দৌলত বেগ ওল্ডি-সহ একাধিক সেক্টরের কাছে অস্ত্রশস্ত্র সহ ঘাঁটি গেড়েছে। কারাকোরাম পাসের কাছে ভারত রাস্তা তৈরি বন্ধ না করলে সেনা সরাবে না বলে চিন সাফ জানিয়েছে। রাস্তা তৈরি বন্ধ হবে না বলে ভারতও পালটা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। আর এ বিষয়ে কেন্দ্রের নীরবতাকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী।