সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ববাজারে টাকার অবমূল্যায়ন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। গত কয়েকদিন ধরেই মার্কিন ডলার পিছু টাকার মূল্য প্রায় ৮০ টাকা! যা সর্বকালীন রেকর্ড। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সমালোচনায় সরব বিরোধীরা।
শনিবারের হিসেব বলছে এক মার্কিন ডলারের মূল্য ভারতীয় অঙ্কে ৭৯ টাকা ৭২ পয়সা। এই অবস্থায় কংগ্রেস নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি পুরনো টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করছেন। ২০১৩ সালের সেই পোস্টে তৎকালীন বিরোধী নেতা মোদি ইউপিএ সরকারকে কটাক্ষ করে লিখেছিলেন, ”ইউপিএ সরকার ও টাকার মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা চলছে কে আগে মুখ থুবড়ে পড়বে।”

[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে নিতে হবে অনুমতি, সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া ফরমান বিহারে]
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আবার কেন্দ্রকে খোঁচা মেরে এই পরিস্থিতিকে ‘অমৃতকাল’ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর টুইটে। তাঁর পোস্টে তিনি দাবি করেন, যখন টাকার দাম ডলার পিছু ৫০ বা ৬০ টাকা ছিল, তখন বিরোধীর আসনে থাকা বিজেপির অভিযোগ ছিল ভারত সংকটে এবং টাকা আইসিইউয়ে রয়েছে। কিন্তু এখন টাকার দাম ৭০ পেরোতেই বিজেপি ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে ওঠার কথা বলছে। আর ৮০ টাকা ছোঁয়ার মুহূর্তে যেন দাবি করতে চাইছে এটা ‘অমৃতকাল’। এদিকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম দাবি করেছেন, ২০১৩ সালে টাকার মূল্য ডলার পিছু ৬৯ টাকা হওয়ার পরে তার মাসেই তা কমিয়ে ৫৮ টাকায় নামাতে সক্ষম হয়েছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার।
Rupee @
40 : ‘Refreshing’
50 : ‘India in crisis’
60 : ICU
70 : Atmanirbhar
80 : Am₹itkaal— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 14, 2022
At the AICC Press Briefing today, the spokesperson recalled that in 2013 (when the taper tantrum hit emerging markets) there was a UPA government
That the UPA government brought back the value of the rupee from Rs 69 to a $ to Rs 58 within 4 months
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) July 15, 2022
[আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গার পর মোদি সরকার ফেলতে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা! দাবি তদন্তকারীদের]
স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছে বিজেপির উপরে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, বৃহত্তর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাবেই টাকা এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ছে। প্রসঙ্গত, যেভাবে ক্রমাগত পড়ছে টাকার দাম, তার কী প্রভাব পড়তে পারে বাজারে? টাকার দাম নিম্নমুখী হয়ে পড়ার ফলে অশোধিত তেল, কয়লা, লোহা, স্টিল, ইলেকট্রিক পণ্য, প্লাস্টিক, সার, সোনা আমদানির খরচ বাড়তে পারে। পাশাপাশি খরচ বাড়বে বিদেশে শিক্ষা ও বেড়াতে যাওয়ার। বাড়বে মুদ্রাস্ফীতিও।