সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মক্কায় হজ করতে যাবেন বলে দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ লক্ষ টাকা জমিয়েছিলেন। কিন্তু, করোনা ভাইরাস (Corona Virus)-র সংক্রমণ ও তার ফলে হওয়া লকডাউনের জেরে মক্কার যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আর তখনই সেই টাকা জমিয়ে না রেখে মানবসেবায় দান করার পরিকল্পনা নেন জম্মু ও কাশ্মীরের এক মুসলিম বৃদ্ধা। তারপর কোনও সরকারি সংস্থা বা মাদ্রাসাকে নয় নিজের কষ্টার্জিত সেই টাকা তিনি তুলে দিলেন আরএসএসের শাখা সংগঠন সেবা ভারতীকে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সবাই। আর খালিদা বেগম নামে ৮৭ বছরের ওই বৃদ্ধা বলছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সেবা ভারতীর কাজ দেখেছি। তাই গরিব কাশ্মীরিদের সাহায্য করার জন্য ওদের হাতেই টাকা তুলে দিয়েছি।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, খালিদ বেগমের বাবা পীর মহম্মদ খান একসময়ে জনসংঘের সভাপতির দায়িত্বে সামলছেন। এর ফলে খুব ছোট থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সেবামূলক কাজকর্ম নিজের চোখে দেখে আসছেন তিনি। অনেক সময় নিজেও প্রচুর সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। বর্তমানে তাঁর পুত্র ও প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক ফারুক খান জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপালের বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করছেন। তাই বন্যা বা অন্য দুর্যোগের সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠন কীভাবে ধর্মমত নির্বিশেষে অসহায় ও গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ায় তা খুব ভালভাবেই জানেন তিনি। ফলে হজে যাওয়ার জন্য জমানো টাকা সেবা ভারতীকে দান করার আগে একমুহূর্ত ভাবেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসের পাশে দাঁড়িয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার, ঝলসে গেলেন দিল্লির বাসিন্দা ]
খালিদা বেগমের এই মহৎ অবদানের কথা জানিয়ে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন আরএসএসের মিডিয়া শাখা ইন্দ্রপ্রস্থ বিশ্ব সংবাদ কেন্দ্র (IVSK)-র প্রধান অরুণ আনন্দ। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে সেবা ভারতীর সমাজসেবামূলক কাজ থেকে অভিভূত হয়েছেন খালিদা বেগমজি। তাই দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের কারণে যখন লকডাউন চলছে তখন কাশ্মীরের গরিব মানুষের জন্য তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা দান করেছেন। আমরা তাঁর ভরসা ও ইচ্ছার সম্পূর্ণ মর্যাদা রাখব।’