Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বাস্থ্যমন্ত্রক

সংক্রমণ ছড়াল ৪৩০টি জেলায়, করোনা আতঙ্কে কাঁপছে দেশের ৬টি বড় শহর

দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে কুড়ি হাজার, মৃত ৬৫২ জন।

CoronaVirus spreads to 430 districts, 60 percent cases from 6 cities
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 22, 2020 7:39 pm
  • Updated:April 22, 2020 7:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ছে সংক্রমণ। ২১১ থেকে বেড়ে ৪৩০টি জেলায় ছড়িয়ে পড়ল এই সংক্রমণ। সরকারি সূত্রে জানা যায়, দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে মাত্র ৬টি শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা হল পাঁচশো। দেশের মোট আক্রান্তের ৪৫ শতাংশের খোঁজ মিলবে এই শহরগুলি থেকেই। ২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ২১১টি জেলায় এই সংক্রমণ সীমাবদ্ধ ছিল।

যত দিন যাচ্ছে ততই চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। সরকারি সূত্রে জানা যায়, দেশের এই সংক্রমিত শহর গুলির মধ্যে অন্যতম হল মুম্বই (৩০০০), দিল্লি (২০৮১), আহমেদাবাদ (১২৯৮), ইন্দোর (৯১৫), পুণে (৬৬০), জয়পুর (৫৩৭)। সংক্রমণের সংখ্যার বিচার করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, “সংক্রমণ বাড়লেও লকডাউনের জেরে গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রভাব কমেছে।” ২৫ মার্চ থেকে দেশ জোড়া লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানান, “সংক্রমণের হার দ্বিগুন হয়ে যাওয়ায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের আগে যেই সংক্রমণ হতে ৩.৪ দিন সময় লাগত লকডাউনের পর সেই সংক্রমণ হচ্ছে ৭.৫ দিনে।” এই পরিস্থিতিতে ‘একটি ইতিবাচক দিক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন লব আগরওয়াল। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে উনিশ হাজার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪০ জন।

Advertisement

[আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, কড়া চিঠি রাজ্যগুলিকে]

তবে দেশের ষাট শতাংশ আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু থেকে। এত সতর্কতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের দিল্লি ও মুম্বইয়ের রেড জোনগুলির (Red Zone) প্রতি আরও সচেতন হতে বলা হয়েছে। সোমবারা থেকে ভারতের অর্তনীতিকে কিছুটা চাঙ্গা করতে ও খাদ্যশষ্যের মজুত সঠিক রাখতে বেশ কিছু ব্যবসা ও গ্রামীণ কারখানাগুলি চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়ম মেনে প্রতিটি মানুষ গৃহবন্দি হয়ে থাকলেও ৩মে পর্যন্ত তাঁদের প্রয়োজন জীবন ধারণের জন্য খাবার ও ওষুধ। তাই কবে ফের ছন্দে ফিরবে ভারতীয়দের জীবনযাত্রা সেই উত্তর এখনও পড়ে বিশ বাঁও জলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:করোনা চিকিৎসায় ‘আয়ুশ’কে মান্যতা কেন্দ্রের, আইসোলেশনে থাকা রোগীর উপর প্রয়োগ হবে আয়ুর্বেদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ