সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ধারাবাহিক নিম্নমুখী কোভিড (COVID-19) গ্রাফে আচমকাই ছন্দপতন। ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর হার। ফিরছে অস্বস্তি, উদ্বেগ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানেই ইঙ্গিত, বাংলা নববর্ষের দিন দেশের করোনা (Coronavirus)পরিস্থিতি খুব একটা শুভ নয়। কেন্দ্রের সাম্প্রতিকতম বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন হাজারের কম – ৯৪৯। যা আগেরদিনের চেয়ে খানিকটা কম। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা কম। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১০ জন করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
COVID-19 | India reports 949 fresh cases, 810 recoveries and 6 deaths in the last 24 hours. Active cases 11,191
Daily positivity rate (0.26%) pic.twitter.com/DQkCXm95Hd
— ANI (@ANI) April 15, 2022
এদিকে, অ্যাকটিভ কেস (Active cases) বেড়েছে। বৃহস্পতিবার যা ১১ হাজার ছুঁয়েছিল, শুক্রবার সেটাই দাঁড়াল প্রায় ১১ হাজার ২০০। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর এই ঊর্ধ্বমুখী হার চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই মূহূর্তে দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন মোট ৪,২৫,০৭,০৩৮ জন। মহামারী প্রাণ কেড়েছে ৫,২১,৭৪৩ জনের।
[আরও পড়ুন: নববর্ষের সকালে মন্দিরে মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল, শুভেচ্ছাবার্তা মোদি-মমতার]
মাস দুই পর ফের দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ। তার আগে টিকাকরণের মাধ্যমে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে জোরকদমে। বয়স্কদের বুস্টার ডোজ ও ছোটদের টিকা দেওয়ার পাশাপাশি ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্যও শুরু হয়েছে প্রিকশন ডোজ। তবে এই ডোজ বাজার থেকে কিনে তবেই নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি, CBSE’র দ্বিতীয় দফার বোর্ড পরীক্ষা হোম সেন্টারে নয়]
এদিকে, রাজধানী দিল্লি (Delhi) ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (NCR) পজিটিভিটি রেট বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। প্রায় দু’বছর বন্ধ থাকার পরে খুলেছে স্কুলগুলি। কিন্তু এর মধ্যেই আক্রান্ত হতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। আর সেই কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই প্রশাসনের কাছে হয়ে উঠেছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় সিবিএসই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হোম সেন্টার বাদ দিয়ে অন্য স্কুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।