Advertisement
Advertisement

Breaking News

VHP

‘হাত কাটুন, মাথা কাটুন, বেছে বেছে মারুন ওদের’, VHP’র সভা থেকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ

জেহাদিদের উদ্দেশে বার্তা, সাফাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের।

Cut their hands, behead them, Hate speech by VHP leader's | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 9, 2022 5:44 pm
  • Updated:October 9, 2022 9:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের প্রকাশ্য ঘৃণাভাষণ। খোদ রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) জনসভায় বক্তার পরামর্শ, প্রয়োজন ওদের হাত কেটে ফেলুন, ধর থেকে মাথা আলাদা করে দিন। বেছে বেছে মারুন। আরেক মহান্ত সঙ্গে বন্দুক রাখার পরামর্শ দিলেন ভিড়কে। তার বক্তব্য, লাইসেন্স থাকুক আর না থাকুক সঙ্গে বন্দুক রাখুন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও কোনও একটি সম্প্রদায়ের লক্ষ্য করে প্ররোচনামূলক ঘৃণাভাষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ভিএইচপি (VHP)।  

ভিএইচপির জনসভায় জগৎগুরু যোগেশ্বর আচার্য (Jagat Guru Yogeshwar Acharya) বলেন, যারা আপনাদের উপর হামলা চালাতে পারে তাদের হাত কেটে নিন, মাথা কেটে নিন। বড়জোর জেল হবে। কিন্তু ওদের শিক্ষা দেওয়ার সময় হয়েছে। বেছে বেছে হত্যা করতে হবে এদের। অন্যদিকে মহান্ত নওয়াল কিশোর দাস (Mahant Nawal Kishore Das) জানান, লাইসেন্স থাকুক আর না থাকুক সঙ্গে বন্দুক রাখতে হবে। তাঁর কথায়, বন্দুক জোগাড় করুন, লাইসেন্স করান। লাইসেন্স না থাকলেও কিছু এসে যায় না। যারা আপনাকে হত্যা করতে আসবে তারা কি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক নিয়ে আসবে? ফলে আপনারই বা লাইসেন্সের প্রয়োজনটা কী?

Advertisement

[আরও পড়ুন: গাড়ির সিট খুলে ভিতরে ঠাসাঠাসি করে রাখা গরু! বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বাজেয়াপ্ত বড় গাড়ি]

স্বভাবতই ভিএইচপি নেতাদের প্রকাশ্য ঘৃণাভাষণে বিতর্ক দানা বেধেছে। যদিও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র গোটা বিতর্ক ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, কোনও সম্প্রদায়ের উদ্দেশে এই কথা বলা হয়নি, জেহাদি জঙ্গিদের উদ্দেশে একথা বলা হয়েছে মাত্র। মানুষ রেগে রয়েছে, এটাই বোঝাতে চেয়েছে বক্তারা। জেহাদিদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষায় এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নূপুর ছিনিয়ে নিতে ১০৮ বছরের বৃদ্ধার পায়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ দুষ্কৃতীর! চাঞ্চল্য জয়পুরে]

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লিতে বছর ২৫-এর এক যুবক খুন হন। অভিযোগ ওঠে, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি ওই যুবককে খুন করে। যদিও এই হত্যার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক যোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, বছর খানেক আগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনেছিল খুন হওয়া যুবক। ওই অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দিচ্ছিল ওই দুই ব্যক্তি। তাতে রাজি না হওয়াতেই যুবককে খুন করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ