সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিশপ্ত বুরারি হাউসের স্মৃতি ফিরে এল দিল্লিতে। ভজনপুরা এলাকায় এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হল পরিবারের ৫ জনের পচাগলা মৃতদেহ। তিন সন্তান ও স্বামী-স্ত্রী বলে মৃতদের সকলকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। শুরু হয়েছে তদন্ত।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরার রিকশাচালক শম্ভু নামে এক ব্যক্তি। তিন ছেলেমেয়ের এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। বুধবার দুপুর নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। খবর পাঠানো হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে দেখে, ৫ জনের দেহ পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দেহগুলি উদ্ধার করে একে একে চিহ্নিত করা হয়। বাড়ির মালিক শম্ভু, তাঁর স্ত্রী এবং ১৮,১৪ ও ১২ বছরের তিন ছেলেমেয়ে।
[আরও পড়ুন: HUG DAY-তে বিজেপিকে ‘আন্তরিক’ শুভেচ্ছা কংগ্রেসের, হাতিয়ার এই বিখ্যাত ছবি]
ডিসিপি বেদপ্রকাশ সূর্য প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন, আনুমানিক ৬ দিন আগে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির একটি দরজা বাইরে থেকে এবং আরেকটি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ওই ভাবে দেহগুলি পড়ে থেকে পচে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার না হওয়ায় কীভাবে মৃত্যু, তা নিয়ে সংশয় দানা বাঁধছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। তার উপর ভিত্তি করে প্রাথমিক পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষা করছেন তাঁরা।
সালটা ২০১৮। কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে বাড়ির মধ্যেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন একই পরিবারের ১১ জন। সাত মহিলা ও চারজন পুরুষ। দিল্লির বুরারি হাউসের সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। তারপর থেকে গোটা বাড়িটি আতঙ্কের নিদর্শন হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে। এমনকী রাত হলেই বাড়িটিতে নাকি নানা ধরনের শব্দ ও ভৌতিক কাণ্ডকারখানা ঘটে বলে দাবি করেছিলেন স্থানীয়রা। অনেকেই বাড়িটি ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সে দাবি যদিও পূরণ হয়নি। গত বছর সেই বুরারি হাউস একটি ভাল কাজে লাগানো হয়েছে। তৈরি হয়েছে ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। আজ ভজনপুরায় এক পরিবারের ৫ বছরের মৃত্যুর ঘটনাতেও তেমনই ছায়া দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।