সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হিংসায় জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির (JNU) ছাত্রনেতা উমর খালিদের বিরুদ্ধে UAPA আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এছাড়া, জমিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের বিরুদ্ধেও একই আইনে মামলা করা হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে হেঁটেই পার ৫০০ কিলোমিটার! বাড়ি ফিরল উত্তরপ্রদেশের ৪ পড়ুয়া]
সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় JNU ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও জামিয়ার দুই ছাত্রনেতা মিরান হায়দর ও সাফোরা জারগারের বিরুদ্ধে এই কড়া আইনে মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ। হায়দরের আইনজীবী আকরাম খান জানিয়েছেন, এফআইআর-এ সাফ বলা হয়েছে দিল্লি হিংসার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এই ষড়যন্ত্র করা হয়ছিল। এতে উমর খালিদ ও জমিয়ার দুই ছাত্রনেতা জড়িত। ওই অভিযোগে আর বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় দিল্লিতে দু’জায়গায় ভাষণ দেন উমর। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ভুয়ো ছবি তুলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রচার করা। পাশাপাশি, হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশে একাধিক বাড়িতে পেট্রল বোমা, অ্যাসিড বোতল ও হাতিয়ার মজুত করে রাখা হয়েছিল। উল্লেখ্য, জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির মিডিয়া শাখার দায়িত্বে রয়েছেন এমফিল-এর ছাত্র জারগার। ওই একই কমিটির সদস্য পিএইচডি’র ছাত্র তথা আরজেডি দলের দিল্লি শাখার দলিত নেতা হায়দর।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিরোধী এবং সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। হামলা হয় জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটিতেও।চারদিন ধরে চলা এই সাম্প্রদায়িক অশান্তির জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মা। বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পরে রাস্তার ধারে থাকা ড্রেন থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বেশ চাপে পড়তে হয় নয়াদিল্লিকে।