BREAKING
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দেশপ্রেমের শিক্ষা দিলেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্য, ভারতে থাকতে হলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতেই হবে। ভারত ধর্মশালা নয়, তাই সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। যাঁরা ভারত মাতার জয়গান করবে, তাঁরাই এদেশে থাকতে পারবে।
CAA ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে বেশ চাপে বিজেপি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষকে এই বিল সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। নিজেদের এলাকায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রচার চালাতে বলা হয়েছে নেতামন্ত্রীদের। ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) গিয়েছিলেন পুণেতে সংশোধিত নাগরিক্ত আইন নিয়ে প্রচার চালাতে । সেখানে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির একটি সভায় নাগরিকত্ব ইস্যুতে ওই নিদান দেন তিনি।
#WATCH Union Min D Pradhan:Kya Bhagat Singh aur Neta ji Subhas Chandra Bose ka balidan bekar jaega?Kya logon ne swatantra ke liye isliye ladai ki taaki azadi ke 70 saal baad desh is pe vichaar karega ki nagarikta ginen ya na ginen?Kya is desh ko hum dharmshala banaenge?..(28.12) pic.twitter.com/yNmWHol4bJ
— ANI (@ANI) December 29, 2019
[আরও পড়ুন: সিএএ’র সমর্থনে রাজ্যপালকে বক্তব্য রাখতে বাধা ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবের!]
প্রধানের কথায়, “ভগৎ সিং, সুভাষচন্দ্র বোসের মতো দেশপ্রেমিকদের বলিদান কি ব্যর্থ হবে? এঁরা দেশের জন্য, দেশের স্বাধীনতার জন্য এত লড়াই করেছেন। নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু, স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে এসে আমরা কী ভাবছি? স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে এসে কি আমরা এটা ভাবতে বসব যে, নিজেদের দেশের নাগরিক সংখ্যা গুণব, নাকি গুণব না? আমরা কি এই দেশটাকে ধর্মশালা তৈরি করব?” এরপরই প্রধান নিদান দেন, এ দেশে থাকতে হলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতেই হবে। প্রধানের কথায়, “আমরা ভারতকে এমন ধর্মশালা বানাবো না, যাতে যে কেউ এসে বাসা বাঁধতে পারে। আমাদের নিজেদের কাছেই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, তাঁরাই এই দেশে থাকবে, যাঁরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে।”
