সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বালানি তেলের দাম কমার কোনও লক্ষ্মণই নেই। টানা ১৮ দিন ধরে বেড়েই চলেছে ডিজেলের (Diesel) দাম। আর এই বাড়তে থাকা দামকে ঘিরে এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। দেশের রাজধানীতে পেট্রলকে ছাপিয়ে গেল ডিজেলের দাম। যা একেবারে নজিরবিহীন ঘটনা। তবে দেশের অন্য তিন মেট্রো শহর-কলকাতা, মুম্বই ও চেন্নাইতে পেট্রলের দাম এগিয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন পেট্রলের দাম বাড়েনি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে বিঁধেছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
मोदी सरकार ने कोरोना महामारी और पेट्रोल-डीज़ल की क़ीमतें “अन्लॉक” कर दी हैं। pic.twitter.com/ty4aeZVTxq
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 24, 2020
বুধবার ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৪৮ পয়সা বেড়েছে। দিল্লিতে এদিন ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৭৯.৮৮ টাকা। অন্যদিকে, পেট্রলের দাম ৭৯.৭৬ টাকা। কলকাতায় (Kolkata) এদিন এক লিটার পেট্রোলের দাম ৮১ টাকা ৪৫ পয়সা। ডিজেলের দাম ৭৫ টাকা ০৬ পয়সা। ভারতে সাধারণত ডিজেলের দাম পেট্রোলের তুলনায় কম। তবে বিশ্ববাজারে পেট্রলের চেয়ে ডিজেলের দাম কিছুটা বেশি। কারণ, এই জ্বালানি উৎপাদনের খরচ অনেকটাই বেশি। আবার ভারতের গণপরিবহণ যেহেতু ডিজেলর উপর নির্ভশীল তাই তার উপর কম কর (tax) চাপানো হয়।
[আরও পড়ুন : করোনা বধের কিট বানিয়ে বিপাকে রামদেবের পতঞ্জলি, উঠল ‘প্রতারণা’র অভিযোগ]
দিল্লিতে অবশ্য জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পিছনে কেজরি সরকারের হাত রয়েছে। মার্চ মাসে রাজধানীতে প্রতি লিটার পেট্রল ও ডিজেলে ৩ টাকা করে আবগারি শুল্ক বাড়ায় কেজরিওয়াল সরকার। তারপর করোনা সংক্রমণ ও তার জেরে লকডাউনের পর দেশের রাজস্বকে ফেরানোর জন্য মে মাসে পেট্রোলে প্রতি লিটারে ১০ টাকা ও ডিজেলে প্রতি লিটারে ১৩ টাকা করে আবগারি শুল্ক বাড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউন চলাকালীন তেলের দামবৃদ্ধি বন্ধ খাকায়, এর ফলে আমজনতাকে ভুগতে হয়নি। কিন্তু ৮২ দিন পর থেকে তেলের দামবৃদ্ধি শুরু হতেই দেশবাসী এর ফল ভুগতে শুরু করেছে। লকডাউনের পরবর্তী সময় একটানা তেলের দামবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধেছে বিরোধীরাও।