Advertisement
Advertisement

Breaking News

মধ্যপ্রদেশে প্রকট কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব, টিকিট বিলিকে ঘিরে যুযুধান দিগ্বিজয়-জ্যোতিরাদিত্য

ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধী, গড়লেন তিন সদস্যের কমিটি৷

Digvijaya Singh-Jyotiraditya Scindia spat in front of Rahul Gandhi
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 2, 2018 12:51 pm
  • Updated:November 2, 2018 12:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৮ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন৷ বিজেপি-কংগ্রেস দ্বৈরথে ইতিমধ্যে সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷ এর আঁচ পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় স্তরেও৷ গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের আগেই প্রকট হয়েছে ওই রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব৷ নিজেদের মধ্যেই কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা দিগ্বিজয় সিং ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া৷ বিষয়টি ঘিরে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌঁছে গিয়েছে যে, ঝামেলা মেটাতে ময়দানে নামতে হয়েছে কংগ্রেসের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের৷

[উপত্যকায় বড়সড় সাফল্য সেনার, চারদিনে নিকেশ ৫ জঙ্গি]

Advertisement

জানা গিয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্ব ও টিকিট বিলির বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ বৈঠকে ছিলেন, মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনের প্রচার কমিটির প্রধান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রধান দিগ্বিজয় সিং৷ সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতির সামনেই উক্ত বৈঠকেই উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও দিগ্বিজয় সিং৷ যা নিয়ে পরে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাহুল গান্ধী৷ ঝামেলার সূত্রপাত হয় টিকিট বিলিকে কেন্দ্র করে৷ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই নেতাই নিজ নিজ অনুগামীদের টিকিট দেওয়ার জন্য হাইকমান্ডের কাছে আপিল করেন৷ প্রাণপণ চেষ্টা করেন তাঁদের অনুগামীদের যত সংখ্যক বেশি টিকিট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে৷

Advertisement

[জঙ্গিদের গুলিতে জম্মুতে খুন রাজ্য বিজেপি সম্পাদক ও তাঁর ভাই]

পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌঁছে যায়, যা সামাল দিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ কমিটির সদস্য করা হয়েছে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট, বীরাপ্পা মইলি ও আহমেদ প্যাটেলকে৷ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কমিটিই চেষ্টা করে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যেকার ঝামেলা মেটানোর৷ উভয়পক্ষকে তুষ্ট করে রাজ্যে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী নির্বাচন করার৷ তবে আদৌ এই ঝামেলা মিটাতে কতটা সমর্থ হয়েছেন তাঁরা, তা পরবর্তী সময়ে বোঝা যাবে৷ কিন্তু নির্বাচনের একমাসের কম সময়ের ব্যবধানে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যেকার এই অন্তর্দ্বন্দ্ব মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষে আশঙ্কার বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ আশঙ্কা, এই দ্বন্দ্বের সুযোগ তুলতে পারে বিজেপি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ