সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কঠিন সময়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নয়। নিজামুদ্দিনের জমায়েত প্রসঙ্গে দলীয় নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। বিজেপি সুত্রের খবর, নাড্ডা দলীয় নেতাদের নিজামুদ্দিন নিয়ে কোনওরকম বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং রাজ্য সরকারগুলির নির্দেশ মেনে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে দিল্লির নিজামুদ্দিনের জমায়েত। তবলিঘি জামাতের সমাবেশে অংশ নেওয়া অন্তত ৭০০ মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারের আশঙ্কা, এই সংখ্যাটা ৯ হাজার পর্যন্ত যেতে পারে। মুলত, ওই ধর্মীয় সমাবেশের জন্যই দেশে তরতরিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চরমে। কার গাফিলতিতে রাজধানীর বুকে এত বড় ধর্মীয় সমাবেশ হল, তা নিয়ে একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলি। গেরুয়া শিবিরের একাংশ আবার অস্ফুটে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা শুরু করেছে। প্রথম সারির নেতামন্ত্রীরা মুখ না খুললেও, স্থানীয় স্তরে অনেক বিজেপি নেতাই নিজামুদ্দিন থেকে করোনা সংক্রমণের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং খোঁজার চেষ্টা করছেন। নিজামুদ্দিনের ঘটনাকে অনেকে ‘করোনা জিহাদ’, ‘মারকাজ ষড়যন্ত্র’ হিসেবেও বর্ণনা করছেন।
[আরও পড়ুন: আইনি ব্যবস্থাতেও হয়নি শিক্ষা, চিকিৎসকদের ফের ‘থুতু ছুঁড়ল’ নিজামুদ্দিনে জমায়েতকারীরা]
এবার সেই প্রচেষ্টা পুরোপুরি বন্ধ করতে উদ্যোগী হলেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলীয় বৈঠকে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে কোনওভাবেই সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়া চলবে না। আমাদের এই লড়াই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। নাড্ডার বৈঠকে হাজির এক নেতা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমাদের আগেই নির্দেশ দেওয়া ছিল যে, দেশের প্রতি আমাদের একটা গুরুদায়িত্ব আছে। এই ভাইরাস জাতিধর্ম নির্বিশেষে গোটা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিয়েছে।তাই এ নিয়ে কোনওরকম উসকানিমুলক মন্তব্য করা যাবে না। তবলিঘির ঘটনা সামনে আসার পর আরও জোরালভাবে সেই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে শুধু দলের সংখ্যালঘু নেতারাই চাইলে মন্তব্য করতে পারেন। শুধু তাই নয়, যেসব রাজ্যে বিরোধীদের সরকার আছে, সেখানেও সরকারের সাথে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতাদের।”