Advertisement
Advertisement
Kashmir

গুপকার ডিক্লেরেশনের প্রেসিডেন্ট মনোনীত ফারুক আবদুল্লা, কাশ্মীরে ‘ভারত বিরোধের’ নয়া মঞ্চ

পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে দেওয়া হয়েছে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদ।

Farooq Abdullah president of People’s Alliance for Gupkar Declaration | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 24, 2020 6:26 pm
  • Updated:October 24, 2020 6:31 pm

মাসুদ ওয়াফাই: জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়ায় ‘ক্ষমতাচ্যুত’ মুফতি ও আবদুল্লা পরিবার। ফলস্বরূপ ‘জনতার স্বার্থে’ উপত্যকার মর্যাদা ফেরাতে রূপ নিয়েছে বিরোধী মহাজোট ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লেরেশন’। রাজনৈতিকভাবে ভূস্বর্গে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়লেও ওই জোটে নাম লিখিয়েছে সিপিএমও। মান খুইয়ে ইতস্তত করছে কংগ্রেস। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার শ্রীনগরে মহাজোটের বৈঠকে বিভেদ ভুলে হাত মেলালেন মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লা।

[আরও পড়ুন: নজরদারি চালাতে চিনা ড্রোন ব্যবহার পাকিস্তানের, সীমান্ত পেরোতেই গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা]

এদিন, বিরোধীদের বৈঠকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক অবদুল্লাকে মহাজোট বা গুপকার ডিক্লেরেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে দেওয়া হয়েছে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদ। সংগঠনটির মুখপাত্র করা হয়েছে সাজ্জাদ লোনকে। আহ্বায়ক করা হয়েছে সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিকে। মেহবুবার শ্রীনগরের বাসভবনে হওয়া বৈঠকের পর ফারুক অবদুল্লা বলেন, “আমরা বিজেপি বিরোধী। কিন্তু দেশদ্রোহী নই। এটা কোনও দেশবিরোধী জামাত নয়। আমরা জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটা কোনও ধর্মীয় লড়াই নয়। ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করার এই চেষ্টা বিফল হবে।”

Advertisement

উল্লেখ্য, বিরোধীদের এই জোটে রয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, পিপলস কনফারেন্স, আওয়ামি ন্যাশনাল কনফারেন্স ও সিপিএম। এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা আগেই জানিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জন্য তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই চলবে। সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি আঞ্চলিক দল ও কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিশেষ মর্যাদা লোপের বিরুদ্ধে তারা লড়াই করবে। ওই সিদ্ধান্ত ‘গুপকার ডিক্লারেশন’ নামে পরিচিত। এদিকে, বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মুফতি-অবদুল্লাদের পাকিস্তান প্রেম অজানা নয়। বিগত কয়েকদিনে চিনের সমর্থনেও কোথা বলেছেন অবদুল্লা। তাই এই মহাজোট ভারত বিরোধীদের মঞ্চ হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যাত্রীদের লাগেজ বহনের হ্যাপা দূর করতে রেলের নয়া পরিষেবা ‘ব্যাগ অন হুইল’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ