সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে ফিরলেই পাশের বাড়ির এগারো বছরের ছেলেটা চলে আসত। গেম খেলার জন্য মোবাইল দেওয়ার আবদার করত। এই অপরাধেই তাঁকে গলা টিপে খুন করল সুরাটের (Surat) ২০ বছরের যুবক।
নিহত কিশোরের নাম আকাশ তিওয়ারি। সুরাটের পান্দেসারার (Pandesara) এলাকার জীবনদীপ নগর সোসাইটির বাসিন্দা। আকাশের বাবা সন্তোষ তিওয়ারি স্থানীয় এক বস্ত্র তৈরির সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। পাশের বাড়ির অমন শিভারের সঙ্গে তাঁর বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। কখনও ভাবতে পারেননি ২০ বছরের হাসিখুশি যুবকই তাঁর একমাত্র ছেলেকে সামান্য মোবাইলের কারণে খুন করতে পারে।
[আরও পড়ুন: ছাপানো বন্ধ দু’হাজার টাকা, দেশজুড়ে বাড়ছে ২০০ ও ৫০০’র জাল নোটের সংখ্যা]
পান্দেসারা থানার ইন্সপেক্টর অল্পেশ চৌধরি জানান, অমন বাড়ি ফেরার খবর পেলেই তার কাছে চলে যেত আকাশ। প্রতিবেশী কাকুর মোবাইলের জন্য বায়না করত। তাতে গেম খেলতে ভালবাসত। মঙ্গলবার রাতেও অমনের কাছে গেম খেলার জন্য তার মোবাইলটি চায়। বিরক্ত অমন রাগের মাথায় ১১ বছরের কিশোরকে গলা টিপে খুন করে। তারপর খাটের তলায় তার মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে। এদিকে রাত হয়ে যাওয়ায় ছেলের খোঁজে বের হন সন্তোষ তিওয়ারি। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজার পর ছেলেকে না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানান। জীবনদীপ নগর সোসাইটিতে গিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। অমনের কথায় পুলিশের সন্দেহ হয়। তাকে আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় অমন। খাটের তলায় আকাশের মৃতদেহের সন্ধান সেই দেয়। আকাশের গলায় অমনের আঙুলের ছাপ দেখা যায়। আপাতত অমনকে পুলিশের নজরে রাখা হয়েছে বলে জানান অল্পেশ চৌধরি। তার করোনা (COVID-19) পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা ফল এসে গেলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন পান্দেসারা থানার ইন্সপেক্টর।