সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে জরুরি পরিস্থিতিতে খোলা থাকছে দুধ, মুদি, ওষুধের দোকান। আর লকডাউনের প্রথম দিনেই দিল্লিতে দেখা গেল এক অভিনব চিত্র। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দোকানে আসা ক্রেতাদের মধ্যে সেই পাঠ দিতে প্রতিটি দোকানের বাইরে সাদা রং দিয়ে গোল করে স্থান চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি ক্রেতাকে চিহ্নিত করে দেওয়া স্থানগুলিতেই দাঁড়িয়ে একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া-সহ প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একে অপরের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেই নির্দেশিকা মানতে বাড়িতে বা অফিসে দূরত্ব বজায় রাখা গেলেও মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না বাজারে। তাই দিল্লি, গুজরাট, পুদুচেরি-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে দোকানের বাইরে এভাবে ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সাদা রং দিয়ে গোল করে এক একটি জায়গা এঁকে দেওয়া হয়েছে রাস্তার উপরে। ফলে প্রতিটি মানুষকে দোকানে কিনতে গেলে সেই নিয়ম মেনেই জিনিস কিনতে হবে। এই নিয়ম কেবল মাত্র মুদি দোকানগুলিতে নয় বহাল করা হয়েছে মাছ, মাংস, ওষুধ ও সবজির দোকানগুলিতে। পুদুচেরির রাজ্যপাল কিরণ বেদি একটি দুধের দোকানের ছবি তুলে ধরেন।
In Puducherry Milk booth.
Social distancing… pic.twitter.com/1nhoZZkyhS— Kiran Bedi (@thekiranbedi) March 25, 2020
গুজরাটের দোকানেও মেনে চলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি তুলে ধরেন মুন্দ্রা জেলার জেলাশাসক।
कोई हाय-तौबा नहीं। कोई मारा-मारी नहीं। सामाजिक दूरी के नियम का सरलता से पालन। देश को राह दिखाता गुजरात के मूँदड़ा का यह स्टोर। #StayHome #21daylockdown #SocialDistancing pic.twitter.com/WmK8zyJ1wB
— Akhilesh Sharma अखिलेश शर्मा (@akhileshsharma1) March 25, 2020
[আরও পড়ুন: করোনার জেরে তৎপর কেন্দ্র, ৬৫ লক্ষ মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ে পেনশন দেওয়ার নির্দেশ]
চিকিৎসকরা জানান, কেবলমাত্র হাত স্যানিটাইজ করলেও বাজারে গিয়ে একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে না। বাজারে গিয়ে ভিড় এড়াতে অন্যদিকে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন পাঞ্জাবের পুলিশকর্মীরা। তারা রাস্তা থেকে সবজি কিনে পৌঁছে দিচ্ছেন প্রতিটি বাড়িতে। অন্যদিকে, যোগী সরকার ও গাড়িতে করে প্রতিটি বাড়িতে পৌছে দিচ্ছেন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।