সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্র চাইলে রাজ্যগুলি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মানতে বাধ্য। এটা সাংবিধানিক কাঠামোর পরিবর্তন। যা শুধুমাত্র কেন্দ্রের এক্তিয়ারভুক্ত। CAB বিরোধী রাজ্যগুলিকে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
মমতা বন্দ্যোপধ্যায়, পিনারাই বিজয়ন, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, কমল নাথ এবং ভুপেশ বাঘেল। ইতিমধ্যেই, পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বলবৎ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিলকে অসাংবিধানিক বলে মনে করছেন তাঁরা। বিরোধী দলগুলির শাসনে থাকা আরও কয়েকটি রাজ্য এই তালিকায় নাম লেখাতে পারেন। এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সংসদে সরকারের ক্ষমতাবলে পাশ হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা পরিণত হয়েছে আইনে। সংসদে বিলটিকে আটকাতে না পারলেও, এবার ঘুরপথে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আটকাতে চাইছে বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন: জ্বলছে উত্তরপূর্ব, CAB বিক্ষোভের আঁচ দিল্লি-সহ গোটা দেশে]
বিরোধীদের সেই ছক বুঝেই হয়তো আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই বিলটি যে রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত নয়, তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অবিজেপি রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়ে দিয়েছেন, “যদি কেন্দ্র এই বিলটি লাগু করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাহলে রাজ্যগুলির কাছে কোনও উপায় থাকবে না। তাঁদের এই আইন বলবৎ করতেই হবে। এটা সংবিধানের পরিকাঠামোগত পরিবর্তন। আর কোনও রাজ্য সরকার সংবিধানের বিরুদ্ধে যেতে পারবে না। তাঁদের সংবিধানের ভিতরে থেকেই কাজ করতে হবে। নাগরিকত্ব আইনের বাস্তবায়ন করতে সব রাজ্য সরকারই বাধ্য।”
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের ২১ দিনের মধ্যেই ফাঁসি! বিল পাশ অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায়]
সংবিধানের সপ্তম তফসিলের দোহাই দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, সপ্তম তফসিলে তিনটি তালিকা আছে। একটি কেন্দ্রের তালিকা, একটি রাজ্যের তালিকা এবং একটি যৌথ তালিকা। নাগরিকত্ব, বিদেশনীতি, প্রতিরক্ষা, রেলের মতো বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্গত। তাই, নাগরিকত্ব ইস্যুতে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু কেন্দ্রের। রাজ্যের নেই। কেন্দ্র চাইলে, রাজ্যও তা মানতে বাধ্য। যদি কোনও রাজ্য আইন না মানতে চায়, সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে।