সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে দুষ্কৃতীরা। কয়েকদিন আগেই যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে ও উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে। প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটতে চলেছিল ছত্তিশগড়ের রাজনন্দনগাঁও এলাকাতেও। কিন্ত, উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে গণধর্ষণের যন্ত্রণা সহ্য করে ধর্ষকদের ধরিয়ে দিলেন এক যুবতী। সোমবার তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে চার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের জের, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে ইস্তফা মুসলিম অধ্যাপকের]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর ২০ বছরের ওই যুবতী পাশের গ্রাম থেকে রাজনন্দনগাঁওে এক আত্মীয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। রাতে ওই আত্মীয়ের বাড়ির পাশে ময়লা ফেলতে গেলে তাঁর উপর চড়াও হয় চার দুষ্কৃতী। তারপর তাঁর মুখ চেপে ধরে টানতে টানতে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওই যুবতী বাঁচার জন্য বারবার চিৎকার করে কোনও সাহায্য পাননি। আসলে অনুষ্ঠান বাড়িতে খুব জোরে মাইক বাজার জন্য তাঁর চিৎকার কেউ শুনতে পাননি।
সেই সুযোগে তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। তারপর তাঁকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করে। ধর্ষণের যন্ত্রণায় তখন অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন ওই যুবতী। তাই ধর্ষকরা তাঁকে মৃত মনে করে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পরে জ্ঞান ফিরতে কোনওরকমে আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছন তিনি। কিন্তু, তারপর প্রায় এক সপ্তাহ লেগে যায় এই ঘটনার স্মৃতি কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে। গত রবিবার একটু সুস্থ হওয়ার পরে বাড়ির লোকজনকে সব কথা খুলে বলেন। অপরাধীদের কড়া শাস্তি দিতে চান বলে জানান। এরপর তাঁকে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যান পরিবারের লোকেরা। আর এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেই সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার পুলিশ।