সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯ মাসের অপেক্ষার অবসান। প্রয়াত বিপিন রাওয়াতের জায়গায় দেশের পরবর্তী সেনা সর্বাধিনায়ক হচ্ছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। প্রায় ৪০ বছর ভারতীয় সেনার বিভিন্ন পদে কাজ করার পর এবার তিন সেনার সর্বোচ্চ পদে বসলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌহান (Lt General Anil Chauhan)। একই সঙ্গে তিনি সেনা সচিব হিসাবেও কাজ করবেন। বুধবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক।
Govt of India appoints Lt General Anil Chauhan (Retired) as the next Chief of Defence Staff (CDS) who will also function as Secretary to Government of India, Department of Military Affairs: MoD pic.twitter.com/Ohg156uwTx
— ANI (@ANI) September 28, 2022
আমৃত্যু জেনারেল বিপিন রাওয়াতই (Bipin Rawat) চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় জেনারেল রাওয়াতের। তারপর থেকেই ফাঁকা পড়ে ছিল চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের (CDS) পদটি। একটা সময় মনে করা হচ্ছিল সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে এই পদটিতে বসতে পারেন। কিন্তু জেনারেল নারাভানেকে টপকে এই পদ পেলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সুখবর, পুজোর আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ল ৪ শতাংশ]
লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌহানকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর আগে অবশ্য সিডিএস (CDS) নিয়োগের নিয়মে সংশোধন করতে হয় কেন্দ্রকে। আগে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ নিয়োগ করা হত শুধু কর্মরত লেফটেন্যান্ট জেনারেলদের মধ্যে থেকে। কিন্ত জেনারেল রাওয়াতের (Bipin Rawat) প্রয়াণের পর সেই নিয়ম সংশোধন করা হয়। কেন্দ্র জানায়, শুধু কর্মরত লেফটেন্যান্ট জেনারেলরা নন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেলরাও এই পদে বসতে পারবেন। শুধু তাঁদের বয়স ৬২ বছরের কম হতে হবে। সেই নিয়মেই অনিল চৌহান দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক হলেন।
[আরও পড়ুন: আরও ৩ মাস প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় বিনামূল্যে রেশন, তৃণমূলের দাবি মানল কেন্দ্র]
আসলে এই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটি দেশের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ। তিন সেনার মধ্যে সমন্বয়সাধন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ভার থাকে সিডিএসের উপর। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ হেন গুরুত্বপূর্ণ পদে অনিল চৌধুরীর অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌহান প্রায় ৪০ বছর ধরে সেনার সঙ্গে যুক্ত। কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ রোখার ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ অভিজ্ঞতা আছে। সেনার বিভিন্ন কম্যান্ডের দায়িত্বও তিনি সামলেছেন। সেই অভিজ্ঞতাকেই পুঁজি করতে চায় ভারত।