সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রতিটি টোল প্লাজায় এবার থেকে বিশেষ মর্যাদা পাবেন জওয়ানরা। কোনও ভারতীয় সেনা টোল ট্যাক্স পেরলেই উঠে দাঁড়াতে হবে এবং স্যালুট জানাতে হবে। এমনই নির্দেশ জারি কেন্দ্রর।
মাসের পর মাস পরিবার থেকে দূরে থেকে বিনা ছুটি, বিনা বিশ্রামে সীমান্ত পাহারা দেন জওয়ানরা। দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে শান্তিতে রাতে ঘুমোতে পারেন, তার জন্য সদা সতর্ক সেনারা। আর তাই সেই সেনাদের বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান প্রাপ্য বলে মনে করেন ভারতের জাতীয় সড়ক অথরিটি (এনএইচএআই)। সেই কারণেই গত সপ্তাহে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রতিটি টোল প্লাজায়।
[আপনার আধার কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? ধরে ফেলুন নিজেই]
সম্প্রতি টোল প্লাজার কর্মীদের বিরুদ্ধে সেনাদের প্রতি অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন কিয়স্কেই জওয়ানদের টোল দিতে জোর করা এবং তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত অসম্মানের সঙ্গে কথা বলা হয় বলে অভিযোগ। তারপরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় আইনের ১৯০১ ধারায় ভারতীয় স্থল, নৌসেনা এবং বায়ুসেনাদের থেকে টোল চার্জ নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে বর্তমানে অনডিউটি থাকাকালীনই স্থলবাহিনী এবং এনসিসি এই সুবিধা পান। কিন্তু সেনা পোশাকেও টোল কর্মীদের কাছে হেনস্তার শিকার হতে হয় জওয়ানদের। তাঁদের পরিচয়পত্র দেখতে চেয়ে বেশ অপমানের সুরেই কথা বলেন কর্মীরা। আর তাই টোল কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল এনএইচএআই। শুধু তাই নয়, অথরিটির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিম্নস্তরের কোনও কর্মীরা জওয়ানদের পরিচয়পত্র চাইতে পারবেন না। সন্দেহ দূর করতে শুধুমাত্র টোল আধিকারিকদেরই এই অনুমতি দেওয়া হবে। নিরাপত্তার নামে জওয়ানদের সঙ্গে এমন অভব্য আচরণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার করে দিয়েছে অথরিটি।
[কাশ্মীরে তুষারধসে চাপা পড়ল ভারতীয় সেনাঘাঁটি, নিখোঁজ ৩ জওয়ান]
এনএইচএআই-এর তরফে টোল ট্যাক্স কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সেনাদের দেখলেই যাতে তাঁরা সঠিকভাবে উঠে দাঁড়িয়ে স্যালুট জানান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে টোল আধিকারিকদের। দেশের প্রতি সেনাদের দায়িত্ব, আত্মত্যাগ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা চলে না। আর তাই গোটা দেশের উচিত সেনাদের সম্মান জানানো। টোল প্লাজাতেও যাতে তার ব্যতিক্রম না হয়, সেদিকেই এবার সতর্ক জাতীয় সড়ক অথরিটি।