Advertisement
Advertisement

প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করে চিঠি রাজ্যপালের, সংসদে সরব তৃণমূল

সংঘাতের আঁচ এবার সংসদে।

Guv’s letter to Malda administration triggers fresh friction with WB Govt
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 6, 2018 2:04 pm
  • Updated:February 6, 2018 2:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত এবার পৌঁছল জাতীয় স্তরে। বিবাদ আগেও ছিল। রাজ্যের অশান্ত পরিবেশ নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য ও ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সে বিবাদ পৌঁছাল সংসদেও। রাজ্যপালের এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজের অভিযোগে এদিন সংসদের দুই কক্ষেই নোটিস দিল তৃণমূল।

ওষুধ দিতে একই সিরিঞ্জের ব্যবহার, যোগীর রাজ্যে HIV আক্রান্ত ৪০ ]

Advertisement

 ঘটনার সূত্রপাত রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে। মালদহ ডিভিশনাল কমিশনারকে পাঠানো ওই চিঠিতে ১১ জানুয়ারি একটি বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।ডাকা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের আইজিকেও। কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তাও চিঠিতে উল্লেখ ছিল। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, রাজ্যপাল এই চিঠি পাঠাতে পারেন না। এমন বৈঠক ডাকা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত। রাজ্যপাল নিজের প্রোটোকল ভাঙছেন বলে আগেই সরব হয়েছিল তৃণমূল। এদিন তার আঁচ গিয়ে পড়ল সংসদেও। দুই কক্ষেই অন্য আলোচনা থামিয়ে এই বিষয়টি তুলে আনে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান বক্তব্য রাখতে গেলে তা খারিজ করে দেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। কিছুক্ষণ পরেই সভা মুলতুবি হয়ে যায়। তবে সংসদের দুই কক্ষেই নোটিস দিয়েছে তৃণমূল। জানা যাচ্ছে, এই মুলতুবি প্রস্তাব আনার আগে অবশ্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গেও একদফা আলোচনা করেছে তৃণমূল। সামগ্রিকভাবে বিরোধীদের সংঘবদ্ধ করেই জাতীয় স্তরে এ ব্যাপারে এগিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, প্রোটোকল ভেঙে প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এবং কখনওই তা কাম্য নয়। বিরোধী জোটকে এককাট্টা করা সম্ভব হয়েছে বলেই, এদিন ডেরেককে বলতে না দেওয়া হলে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেন অন্যান্য দলের সাংসদরাও। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে তৃণমূল। এবং রাজ্যসভার অধিবেশন ফের চালু হলে বিরোধীরা সমবেতভাবে এই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাবে বলেই জানা যাচ্ছে।

Advertisement

এবার নিশানায় হাসপাতাল, কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টিতে শহিদ পুলিশকর্মী ]

 এদিন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সাফ জানান, “রাজ্যপালের কাজেরও সীমা আছে। কিন্তু তিনি তাঁর এক্তিয়ার ভুলেই কাজ করছেন।” অন্যদিকে একই অভিযোগ এনে দিনেশ ত্রিবেদী বলেন, “গর্ভনর সুপার চিফ মিনিস্টার হতে পারেন না। রাজ্যপাল শ্রদ্ধার জায়গা। প্রোটোকল ভাঙছেন রাজ্যপাল।” রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্যপাল সংঘাত রাজ্যের চৌহদ্দিতে নতুন নয়। তবে জাতীয় স্তরে পৌঁছানোয় এই বিতর্ক যে নতুন মাত্রা পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ