Advertisement
Advertisement

Breaking News

নগ্ন করে মারধর

ভিন ধর্মের যুবতীর সঙ্গে পালিয়েছে ভাই, থানায় নগ্ন করে মার অন্তঃসত্ত্বা-সহ তিন বোনকে

বিতর্ক তৈরি হতেই এক সাব-ইনস্পেক্টর ও মহিলা কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Guwahati: Pregnant woman, sisters stripped, beaten by police in Assam

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 18, 2019 10:39 am
  • Updated:September 18, 2019 10:47 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্য ধর্মের যুবতীকে নিয়ে পালিয়েছে ভাই। তাই অন্তঃসত্ত্বা এক মুসলিম যুবতী ও তাঁর দুই বোনকে থানায় নিয়ে গিয়ে নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বেধড়ক মারধরের জেরে অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের দারাং জেলার বুরহা পুলিশ আউট পোস্টে। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছড়াতেই অভিযুক্ত এক সাব-ইনস্পেক্টর ও মহিলা কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ গাড়ি কিনলেন দেশের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি! অবাক নেটিজেনরা]

ঘটনাটির সূত্রপাত হয় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকে। ওই তিন যুবতীর ভাই অন্য ধর্মের একটি যুবতীর সঙ্গে বাড়ি থেকে পালায়। মেয়েটির পরিবারের লোকেরা বুরহা পুলিশ আউট পোস্টে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তদন্ত নেমে গত ৮ সেপ্টেম্বর অন্তঃসত্ত্বা যুবতী-সহ ছেলেটির তিন বোনকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আর সেখানে জেরার নামে তাঁদের নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করে। অকথ্য নির্যাতন করার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা যুবতী। থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গুরুতর জখম অবস্থায় তিনদিন স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি থাকেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতির জেরে গর্ভপাতও করাতে হয় তাঁকে।

Advertisement
torture
পুলিশি অত্যাচারের চিহ্ন

নির্যাতিতাদের অভিযোগ, এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর দারাং জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এই ঘটনার জন্য দায়ি বুরহা আউট পোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ও অন্য অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আর তারপর রাজ্যজুড়ে বিতর্ক শুরু হতেই বদলে যায় পুরো ছবিটা। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর একদিন ভারতের অধীনে আসবেই’, হুংকার বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের]

মঙ্গলবার সকালে অসমের ডিজিপি কুলধর শাইকিয়া বলেন, ‘জেলা পুলিশ সুপারকে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। অভিযোগ সত্যি প্রমাণ হলে দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’ কিন্তু, তাতেও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। এরপর বাধ্য হয়ে এই ঘটনার তদন্ত ভার দেওয়া হয় ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিককে। অভিযুক্ত এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং মহিলা কনস্টেবলকে সাসপেন্ডও করা হয়। একটি মামলাও দায়ের হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ