সংবাদ প্র্তিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA’র সমর্থনে ফের বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। প্রতিবেশী দেশকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন মন্ত্রী জি কিযাণ রেড্ডি। তাঁর কথায়, “ভারতীয় নাগরিকত্ব মিলবে জানলে অর্ধেক বাংলাদেশ ফাঁকা হয়ে যাবে। ভারতের জনসংখ্যা বাড়বে কয়েকগুন। তার দায় কে নেবে!” সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, ২০১৯-এ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা নেই। এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, যাঁরা ওই তিন দেশ থেকে আগত মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছে, তাঁরা আদপে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন।
রবিবার হায়দরাবাদে সন্ত রবিদাসের জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিযাণ রেড্ডি। সেখানে তিনি CAA’র সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর KCR-এর উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, “CAA কীভাবে দেশে বসবাসকারী ১৩০ কোটি মানুষের স্বার্থ বিরোধী, তা প্রমাণ করুন? এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি টিআরএসকে অনুরোধ করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও (কেসিআর) অনুরোধ করছি। আমি এও চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, প্রয়োজনে তিনি প্রমাণ করে দেখান যে দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের মধ্যে একজন ব্যক্তিও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কিনা।” কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “গত ৪০ বছর ধরে দেশে প্রচুর শরণার্থী বাস করছেন। কিন্তু তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এমনকী তাঁদের ভোটার আইডি, আধার বা রেশন কার্ড নেই। তাঁদের কথা ভেবেই মানবিক পদক্ষেপ করেছেন কেন্দ্র সরকার।”
[আরও পড়ুন: মানবিকতার নজির, হিন্দু শবযাত্রীদের জন্য ব্যারিকেড সরিয়ে রাস্তা খুলে দিল শাহিনবাগ]
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কথায়, অনুপ্রবেশকারী ও শরনার্থীদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে একই ধরণের আচরণ করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু কংগ্রেস-সহ একাধিক দল বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদেরও নাগরিকত্ব দিতে চায় বলেও অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তিনি। জি কিষাণ রেড্ডির কথায়, “ভারতীয় নাগরিকত্ব মিলবে জানতে পারলে অর্ধেক বাংলাদেশ ফাঁকা হয়ে যাবে। ভারতের জনসংখ্যা বাড়বে কয়েকগুন। তার দায় কে নেবেন, রাহুল গান্ধি নাতি কেসিআর!”