Advertisement
Advertisement

গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রীর আইনজীবী ছিলেন, রাহুল গান্ধীর মামলা শুনছেন সেই বিচারপতি

এর আগে দায়রা আদালতের বিচারকেরও বিজেপি যোগ প্রকাশ্যে এসেছিল।

HC judge hearing Rahul Gandhi's appeal in defamation case was Maya Kodnani's lawyer in Gujarat Riot case
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 30, 2023 1:55 pm
  • Updated:April 30, 2023 1:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মোদি পদবি’ মামলায় রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মামলা যারা শুনছেন, সেই বিচারপতিদের বিজেপি যোগ যেন রুটিন হয়ে গিয়েছে। সুরাটের দায়রা আদালতে রাহুলের মামলা শুনেছিলেন আর পি মোগেরা। সেই বিচারক একসময় মামলা লড়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হয়ে। এবার গুজরাট হাই কোর্ট (Gujarat High Court) যে বিচারপতি রাহুলের মামলা শুনছেন তাঁর সঙ্গেও বিজেপি যোগের অভিযোগ উঠছে।

মোদি পদবি মামলায় সুরাটের দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গুজরাট হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি গীতা গোপির এজলাসে। কিন্তু প্রথম শুনানির দিনই বিচারপতি গীতা গোপি (Gita Gopi) নিজেকে এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। সেই মামলা যায় বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে। শনিবার এই মামলার শুনানিও হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ফেকু মাস্টারের মউত কি বাত’, মন কি বাতের শততম পর্বকে কটাক্ষ বিরোধীদের]

কিন্তু এরই মধ্যে এই বিচারপতিকে নিয়ে সংশয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক এক সময় বিজেপি নেতাদের হয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকী গুজরাট দাঙ্গায় (Gujarat Riot) অভিযুক্ত তৎকালীন মন্ত্রী মায়া কোদনানির হয়েও মামলা লড়েছেন তিনি। ২০০২ সালে আমেদাবাদের নারোদাগাঁও এলাকায় এক দাঙ্গায় মহিলা ও শিশু-সহ প্রায় শতাধিক মুসলিম খুন হন। সেই মামলায় সম্প্রতি বেকসুর খালাস হওয়া মায়া কোদনানিদের অন্যতম কৌঁসুলি ছিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: মন কি বাতের শততম পর্ব উদযাপনে এসে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা, উচ্ছ্বসিত পরিবার]

বিরোধীদের দাবি, বিজেপি ঘনিষ্ঠতার পুরস্কারও পেয়েছেন বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক। ২০১৫ সাল পর্যন্ত গুজরাট হাই কোর্টের প্লিডার হিসাবে কাজ করতেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে গুজরাট হাই কোর্টে সরকারি আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এরপরই বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। আপাতত রাহুলের মামলা রয়েছে তাঁর হাতেই। যদিও অতীতে কোনও বিচারপতি কোন মামলার আইনজীবী ছিলেন, সেটা পুরোপুরিই তাঁর পেশাদারি সিদ্ধান্ত, সেই অতীত ঘেঁটে বিচারপতিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা নেহাতই বোকামি বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement