Advertisement
Advertisement
নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসি

মাখনে ডোবানো হচ্ছে দড়ি, নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসির জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে তিহারে

আধ ঘণ্টা দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হবে চার দোষীকে।

Here are the procedure to hang Nirbhaya rapists in Tihar
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 11, 2020 3:49 pm
  • Updated:January 11, 2020 3:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হবে নির্ভয়ার চার ধর্ষককে। ওইদিন সকাল সাতটায় চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হবে। ২০১২ সালে ধর্ষণকাণ্ডের পর ৭ বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে শেষমেশ জয়ী হয়েছে নির্ভয়ার পরিবার। এবার পালা দোষীদের শাস্তির। সবকিছু ঠিক থাকলে ২২ জানুয়ারি তিহার জেলে ফাঁসি হবে অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ সিং, বিনয় কুমার ও পবন গুপ্তার। তার জন্য ফাঁসির মহড়া সেরে রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, চারজনের জন্য আলাদা আলাদা দুটি করে দড়ি তৈরি রাখা হয়েছে। জেলের মধ্যে দোষীদের ওজন পরীক্ষা করে তার দ্বিগুণ ওজনের ডামি দিয়ে ফাঁসির মহড়া করা হয়েছে। তাদের ফাঁসি দেবেন ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ। কোনও ব্যাঘাত যাতে না ঘটে তাই দড়িগুলি মোলায়েম রাখার জন্য আগে থেকে সেগুলি প্রচুর মাখনের মধ্যে ডোবানো হয়েছে। তারপর সেই দড়ি স্টিলের বাক্সে ভরে রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ফাঁসির জন্য নতুন দড়ি ব্যবহার করা হয়। ফাঁসির সময় একজন চিকিৎসক, একজন মনোবিদ ও জেলের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘জেএনইউতে আমরাই হামলা চালিয়েছি’, স্টিং অপারেশনে স্বীকারোক্তি এবিভিপি সমর্থকের]

উল্লেখ্য, চার দোষীকে আধ ঘণ্টা ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হবে। তারপর ডাক্তার তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করলে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তারপর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে সৎকারের জন্য। যদি পরিবার দেহ নিতে অস্বীকার করে তবে সৎকার করব তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই চার দোষীকে আলাদা সেলে রাখা শুরু হয়েছে। সিসিটিভি নজরদারিও চলছে। দৈনন্দিন চারজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে নিয়ম করে। মৃত্যু পরোয়ানা জারি হওয়ার পর অনেক সময় আসামি খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সময় নিয়মিত কাউন্সেলিং করে ফাঁসির আসামিকে সুস্থ রাখার চেষ্টা চলে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ